ফাইল ছবি
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো ভারতে রয়েছেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভারতে অবস্থানের বিষয়ে আমি আগেও বলেছিলাম, তিনি স্বল্প নোটিশে এসেছিলেন এবং এখনো এখানেই আছেন।
শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান, যখন তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। ভারতের সরকার শেখ হাসিনার অবস্থানকাল নিয়ে এখনো কোনো তথ্য দেয়নি। তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। সম্ভাব্য গন্তব্যের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফিনল্যান্ডের নাম উঠে আসে।
শেখা হাসিনা দিল্লির কাছে হিন্দন বিমানবন্দরে অবতরণ করার এক দিন পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘খুব অল্প সময়ের নোটিশে তিনি ভারতে আসার অনুমতি চান আর একইসঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনুরোধ আসে। তিনি সন্ধ্যায় দিল্লিতে পৌঁছেছেন।’
এ ছাড়া শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ ওয়াশিংটনে থেকে জানিয়েছিলেন, তার ৭৬ বছর বয়সী মা অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা ভাবছেন।
যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থনার বিষয়ে ‘নীরবতা’ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তার ভিসা প্রত্যাহার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সজীব বলেন, ‘তিনি কোথাও আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেননি।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুনর্গঠিত এই ট্রাইব্যুনাল প্রথম দিনের বিচারিক কার্যক্রমেই এই পরোয়ানা জারি করেছে।
এখন পর্যন্ত আইসিটিতে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা, ১৪ দলীয় জোট, সাংবাদিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম, হত্যা ও গণহত্যার ৬০টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।