ফাইল ছবি
বিশ্বের দুই ডজনের বেশি নেতা এবারের ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হবেন। ক্রেমলিনের আহ্বানে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য এবারের সম্মেলন যোগ দেবেন তারা। পশ্চিমা আধিপত্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক এই জোট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
এতে বলা হয়, রাশিয়ার কাজান শহরে ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুঁতেরা, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের যোগদানের কথা রয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিও আশা করছে। ব্রিকসের মূল সদস্য দেশ হচ্ছে ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
এবারের সম্মেলনের আলোচ্যসূচির প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সুইফট’কে (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্টার ব্যাংক ফাইন্যানশিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ব্রিকস-নেতৃত্বাধীন পেমেন্ট সিস্টেমের ক্ষেত্রে পুতিনের ধারণা, যা ২০২২ সালে রাশিয়ার ব্যাংকগুলো থেকে বাতিল করা হয়েছিল। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের বিষয়েও এবারের সম্মেলনে আলোচনা করবেন পশ্চিমাবিরোধী এই জোটের নেতারা।
মস্কো ভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক কনস্ট্যান্টি কালচেভ বলেছেন, কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের একত্রিত করার মাধ্যমে ক্রেমলিনের লক্ষ্য এটা বুঝানে যে, রাশিয়া বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। তাদেরও মিত্র বা অংশীদার রয়েছে।
ক্রেমলিন বলেছে, তারা বৈশ্বিক বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমেই মোকাবিলা করতে চায়, একক কোনো রাষ্ট্র বা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী নয়। ক্রেমলিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে- ব্রিকস হল বহুমুখী একটি কাঠামো যা দক্ষিণ ও পূর্ব গোলার্ধের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সার্বভৌমত্ব এবং পরস্পর শ্রদ্ধার নীতিতে বিশ্বাসী। তিনি আরও বলেন, ব্রিকস শক্ত গাথুনির মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক ধারায় সম্পর্কের সেতু বন্ধন নিশ্চিত করে বিশ্ব নেতৃত্ব গড়ে তুলছে।
পশ্চিমারা বিশ্বাস করে যে, রাশিয়া তাদের প্রভাব বিস্তার করতে এবং ইউক্রেন সংঘাত সম্পর্কে নিজস্ব চিন্তাধারা প্রচার করতেই এই ব্রিকসের জন্ম দিয়েছে। তারা ব্রিকস-এর কার্যক্রমকে বরাবরই সন্দেহের চোখে দেখে থাকে।