ফাইল ছবি
রাতদিন এক করে চলছে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ। মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে সেতুর টাঙ্গাইল অংশের ৭৫ শতাংশ কাজ। সেতুর ৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার অংশ দৃশ্যমান হয়েছে।
চলতি বছরই শেষ হতে যাচ্ছে সেতুর সম্পূর্ণ কাজ। আর ডিসেম্বরের শেষেই সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে কাজ করছে জাইকা। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের সেতুর ৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার কাজ এরইমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। পুরোপুরি কাজ শেষ হলে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, সেতুর পূর্ব পাড়ে ৭৫ শতাংশ এবং পশ্চিম পাড়ে ৬৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ করে সেতুটিকে ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। ব ১২০ কিলোমিটার বেগে সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে ট্রেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, প্রকল্পের কাজ আশা করছি ডিসেম্বরে শেষ করতে পারবো। এরপর ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে যে ডবল লাইন করছি, তা আমাদের রেলওয়ের জন্য যুগান্তকারী হবে। এতে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা করছি।