ফাইল ছবি
সাহিত্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘সমধারা’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ১০ম কবিতা উৎসব। ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের প্রধান মিলনায়তনে গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ‘ইপসা সমধারা ১০ম কবিতা উৎসব-২০২৪’। সদ্য প্রয়াত কবি আসাদ চৌধুরীকে উৎসর্গকৃত দেশের ইতিহাসে অন্যতম সর্ববৃহৎ পরিসরে এ কবিতা উৎসবে ২ শত জন অগ্রজ ও অনুজ কবি-লেখক উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অন্যতম সাহিত্য বিষয়ক কাগজ সমধারা প্রতিবছর সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় গুণীদের পুরস্কার প্রদান করে আসছে। এ বছর কথাসাহিত্যে সাংবাদিক ও লেখক বিশ^জিৎ চৌধুরী, কবিতা সাহিত্যে কবি ও প্রাবন্ধিক মজিদ মাহমুদ ও শিশুসাহিত্যে বিশিষ্ট শিল্পী ধ্রুব এষ’কে পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে তাদের পোট্রেট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
কবি প্রাবন্ধিক ফরিদ আহমদ দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও সংগঠক ইপসার প্রধান নির্বাহী ড. মো. আরিফুর রহমান। অনন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিশু সাহিত্যিক রহীম শাহ, শিশুসাহিত্যিক স. ম সামসুল আলম, লেখক গবেষক এএফএম মাহবুবুর রহমান, কবি ও লেখক আশফাক রহমান, কবি ও শিশুসাহিত্যিক ধনঞ্জয় সাহা ও কবি নজমুল হেলাল প্রমুখ। তিন পর্বের উৎসব পরিচালনা করেন সমধারা সম্পাদক ও প্রকাশক সালেক নাছির উদ্দিন।
উল্লেখ্য, সাহিত্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘সমধারা’ নিয়মিত প্রকাশনার সাথে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস গবেষণা, অবহেলিত শিশুদের স্বাক্ষরজ্ঞানসহ সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় একুশ শতকের কবিদের মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে সমধারা কবিতা উৎসবের আয়োজন করছে। পাশাপাশি খ্যতিমান গুণীদের সম্মান জানিয়ে আসছে। ২০২৩ সালে কথাসাহিত্যে হরিশংকর জলদাস, কবিতায় ফরিদ আহমদ দুলাল ও শিশুসাহিত্যে স. ম শামসুল আলম সমধারা সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এর আগে ২০২২ সালে কথাসাহিত্যে আনোয়ারা সৈয়দ হক ও কবিতায় ওমর কায়সার, ২০২১ সালে কথাসাহিত্যে ইমদাদুল হক মিলন এবং কবিতায় সরোজ দেব, ২০২০ সালে কথাসাহিত্যে সেলিনা হোসেন এবং শিশুসাহিত্যে রহীম শাহ, ২০১৯ সালে কবি মৃণাল বসুচৌধুরী, ২০১৮ সালে মুহম্মদ নুরুল হুদা, ২০১৭ সালে নির্মলেন্দু গুণ, ২০১৬ সালে হেলাল হাফিজ এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে ২ শত জন কবির কবিতা নিয়ে ‘পদাবলীর যাত্রা-২০২৪’ নামে ১০ম কাব্যগ্রন্থ এবং নিয়মিত প্রকাশনা সমধারা’র ৯৯তম সংখ্যার পাঠ উন্মোচন করা হয়েছে। উৎসবের ২য় পর্বে কবি হেলাল হাফিজের কবিতা অবলম্বনে আবৃত্তি প্রযোজনা ‘প্রিয় রাজকুমার কথন’ উপস্থাপন করা হয়। এতে সমধারা পরিবারের ২৩জন শিল্পী অংশ গ্রহণ করেন। আবৃত্তি প্রযোজনাটি গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন সালেক নাছির উদ্দিন।