ফাইল ছবি
খ্যাতিমান অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ ৪ টা ২০ মিনেটে রাজধানীর গ্রীণরোডের নিজ বাসাতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
প্রয়াত অভিনেতার ব্যক্তিগত কর্মচারী রবিন মন্ডল ‘আজ বিকেল চারটা ২০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মাসুদ আলী খানের দাফন কোথায় ও কখন হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
তিনি জানান, অভিনেতার এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। আগামী ১৩ তারিখে তার দেশে আসার কথা ছিল। তিনি কবে আসবেন তা এখনও জানা যায়নি। অভিনেতা মাসুদ আলী খানের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইরে। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এই বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পী। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন মাসুদ আলী খান । তিনি কলকাতায় কিছুকাল পড়াশুনার একটি অংশ শেষ করেন এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে তিনি জগন্নাথ কলেজ এবং স্যার সলিমুল্লাহ কলেজে পড়াশোনা করেন।
শৈশবে ক্লাস টুতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজায় ‘রানা প্রতাপ সিং’ নাটকে প্রথম অভিনয় করে অভিনয় জগতে পদার্পন। ১৯৫৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় তিনি ‘ড্রামা সার্কেল’র সঙ্গে যুক্ত হন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সাদেক খান পরিচালিত ‘নদী ও নারী’। সর্বশেষ তিনি প্রয়াত খালিদ মাহমুদ মিঠুর নির্দেশনায় ‘জোনাকীর আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তাঁর টেলিভিশনের অভিষেক থিয়েটার ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও পরিচালক নাট্যগুরু নুরুল মোমেন এর একটি নাটকের মধ্য দিয়ে। নাটকটির নাম ছিল "ভাই ভাই সবাই"। এটি একটি পদ্য নাটক এবং তিনি নায়ক ডঃ বশিরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
তিনি ‘দীপু নাম্বার টু’, দুই দুয়ারী, মাটির ময়না, মোল্লা বাড়ীর বউ, টেলিভিশন, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই, সুখী মানুষ প্রজেক্ট, দিন চলে যায়, মধুর ঝামেলা, গুলশান এভিনিউ, সাদা কালো মন, শাপমোচন, ফিফটি-ফিফটি, পৌষ ফাগুনের পালা,
প্যাভিলিয়ান, একান্নবর্তী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে অনন্য অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক ২০২৩-এ ভূষিত হন। তিনি টিভি নাটক আর্টিস্ট অ্যান্ড প্লে রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন (টেনাসিনাস) থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়া মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হন গুণী এই অভিনেতা।