-বক্তব্য রাখছেন ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা । ছবি- সংগৃহীত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী অমূল্য সৃষ্টিকর্ম বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। দুই দেশের মানুষে-মানুষে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক সংযোগ বিনির্মাণে অনন্য প্ল্যাটফর্ম তাঁর সৃষ্টিকর্ম।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হাই কমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি) আয়োজিত ‘নজরুলের শ্যামা সঙ্গীত’ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কথা বলছেন আইজিসিসি পরিচালক অ্যান ম্যারি জর্জ
আইজিসিসি পরিচালক ও হাই কমিশনের প্রথম সচিব (রাজনীতি ও সংস্কৃতি) অ্যান ম্যারি জর্জের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নজরুলের বিখ্যাত কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’, ‘রক্তাম্বরধারিণী মা’ ও ‘আগমনী’ আবৃত্তি করেন প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী টিটো মুন্সী।
আবৃত্তি করছেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী টিটো মুন্সী
মাতৃ আরাধনায় নজরুলের অনবদ্য সৃষ্টি শ্যামাসঙ্গীত গেয়ে শোনান শিল্পী মৃদুলা সমাদ্দার ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী।অনুষ্ঠানে হাই কমিশনারের সহধর্মিনী মানু ভার্মা, ডেপুটি হাই কমিশনার পাওয়ান বাধেসহ বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও সাহিত্যাঙ্গনের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামা সঙ্গীত পরিবেশনায় শিল্পী মৃদুলা সমাদ্দার
নজরুলের মাতৃ-আরাধনায় মূর্ত হয়েছে মানবধর্মের জয়গান। কবির বিপুল রচনা সম্ভারের মধ্যে মাতৃভক্তিমূলক শ্যামা সংগীতের সংখ্যাও কম নয়। ১৯৩-৩১ সাল থেকে শ্যামা সঙ্গীত রচনায় প্রবৃত্ত হন নজরুল। জানা যায়, খ্যাতিমান শিল্পী কৃষ্ণচন্দ্র দে’র অনুপ্রেরণায় শ্যামাসঙ্গীত সৃ্ষ্টিতে প্রাণিত হন কবি। সঙ্গীতজ্ঞ ও গবেষকদের ভাষ্যে, নজরুলের শ্যামা সঙ্গীতের সংকলন রাঙা জবায় সংকলিত ১০০টি গান সুর ও বাণীতে অনবদ্য।
শ্যামা সঙ্গীত পরিবেশনায় বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী
উল্লেখ্য, রামপ্রসাদ শ্যামা সঙ্গীতের পথিকৃৎ স্রষ্টা হলেও নজরুল রচিত শ্যামা সঙ্গীতের বাণী ও সুরের বৈচিত্র্য এর স্বাতন্ত্র্যকে মেলে ধরেছে। সমাজের অসাম্য ও দেশের পরাধীনতা থেকে মুক্তির আহ্বানও উচ্চারিত হয় নজরুলের শ্যামা সংগীতে।