ফাইল ছবি
সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে আলোরকোলে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নান। তবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে পুণ্যার্থী ছাড়া অন্য কেউ সুন্দরবনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এ ছাড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে এবারও রাসমেলা হচ্ছে না।
রাস পূজা ও মেলা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু সন্তু বলেন, রাস পূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৫ নভেম্বর পূজা অর্চনা, ১৬ নভেম্বর ভোরে পুণ্যস্নান হবে। এবারও রাসমেলা হচ্ছে না।
তিথি অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিন আলোরকোলে রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। পুণ্যার্থীদের চলাচলে নিরাপত্তার জন্য বনবিভাগ পাঁচটি রুট নির্ধারণ করেছে। এ পাঁচ রুট হলো শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী হয়ে কোবাদক-বাটুলা নদী-বল নদী-পাটকোষ্টা খাল-হংসরাজ নদী-দুবলার চর-আলোরকোল, কয়রা-শিয়াবাদ-খাসিটানা-বজবজা-আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত-দুবলার চর-আলোরকোল, ঢাংমারী-চাঁদপাই স্টেশন-ত্রিকোনা আইল্যান্ড-বলার চর-আলোরকোল, বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলারচর-দুবলার চর-আলোরকোল ও নলিয়ান স্টেশন-শিবসা-মরজাত নদী-দুবলার চর-আলোরকোল। বনবিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল এসব এলাকায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
বনে প্রবেশের সময় অ্যান্ট্রি পয়েন্টে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার প্রবেশ ফি, অবস্থান ফি এবং লোকের সংখ্যা অনুযায়ী বিধি অনুযায়ী পাস দেওয়া হবে। তীর্থযাত্রীরা পছন্দমতো একটি রুট ব্যবহার করতে পারবেন। বন বিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া কোথাও লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকা থামানো যাবে না।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম জানান, রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে কেবল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বনবিভাগ পাস পারমিট দিয়েছে। তারা নির্ধারিত রুট ব্যবহার করবেন।