ছবি- সংগৃহীত
শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে দিনব্যাপি সমসাময়িক ইউরোপীয়ান আর্টহাউজ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সিনেমা নিয়ে আলোচনা, ময়মনসিংহ শহরের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ ভ্রমণ, স্থানীয় সুস্বাদু খাবার এবং বেশ কিছু ইউরোপীয়ান আর্টহাউজ সিনেমার পাশাপাশি একটি বাংলাদেশী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার হয়।
‘ইউরোপিয়ান আর্ট হাউস সিনেমা ডে’ উদযাপনের অংশ হিসাবে এই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে এবং ময়মনসিংহে এই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হলো। পৃথিবীতে বিকল্প সিনেমার ধারাকে বেগবান করতে এই উদ্যোগটি কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই ও ইউনেস্কোর বাংলাদেশের প্রধান ড. সুসান ভাইজ । এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. প্রদীপ চন্দ্র কর অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মযমনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার হোসেন।
উক্ত আয়োজনে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার প্রধান ড. মিশাল ক্রিঝা ও ইউরোপিও ইউনিয়নের ক্লাইমেট চেঞ্জ দলের বাংলাদেশ প্রতিনিধী প্রধান মি. হুবার্ট ব্লম।
অনুষ্টানের ২য় পর্বে ইউরোপিয়ান আর্টহাউজ সিনেমাস্ ও সিনেমা বিষয়ক আলোচনা পর্বে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা শুভাশীষ রায়, লেখক ও শিক্ষক উম্মে ফারহানা এবং জনপ্রিয় অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক মনোজ প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে যে সকল চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় - দ্য সাইরেন (২০২৩)১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট/ ফ্রান্স (উদ্বোধনী চলচ্চিত্র)
- গন্ডোলা (২০২৩) ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট/ জার্মানি (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার) - দ্য মিটসেলার (২০২৩)১৭ মিনিট/ ইতালি (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার)
- আই প্রমিস ইউ প্যারাডাইস (২০২৩) ২৫ মিনিট/ ফ্রান্স, মিশর (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার)
- ফ্রম সুরমা (২০২৩) ১২ মিনিট/ বাংলাদেশ (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার)
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজাতীয় সাংস্কৃতিক আয়োজন ও মহুয়া পালার অংশবিশেষ পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানের ১ম পর্বের বিরতিতে আগত অতিথিবৃন্দ ময়মনসিংহের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বিশেষ করে শশীলজ পরিদর্শন করেন। ফরাসি রাস্ট্রদূত শশীলজের ভাঙ্গা ভেনাস ভাস্কর্যের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে শোক জ্ঞাপন করেন।
বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে পুরো দিনের কর্মসূচী মুখর হয়েছিল।