ফাইল ছবি
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ায় গাজা উপত্যকায় প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, জাতিসংঘের একটি সংস্থা এখবর জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের হয়ে কাজ করা জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, সংস্থার সদস্যরা ফিলিস্তিনি শিশুদের শিক্ষার জগতে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে, তবে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। যুদ্ধ গাজার শিশুদের শৈশব কেড়ে নিয়েছে এবং বেঁচে থাকা শিশুরা গভীর ট্রমায় ভুগছে। কারণ তাদের স্কুলগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তারা শিক্ষা বা খেলা ছাড়াই পুরো শিক্ষাবর্ষ হারাতে বসেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংঘাত ও যুদ্ধে শিশুরাই প্রথম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাজার যুদ্ধে অনেক শিশু নিহত হয়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছে। তাদের এই ক্ষত আজীবন তাড়া করে বেড়াবে। গাজায় প্রতি ১০টির মধ্যে আটটি স্কুলই ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইউনিসেফ বলছে, যুদ্ধের কারণে এ অঞ্চলের প্রায় ১২ লাখ শিশুর যে মানসিক ক্ষতি হয়েছে, তাতে বিশেষজ্ঞরা শঙ্কিত। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অড্রে ম্যাকমোহন বলেছেন, ‘শিখতে সক্ষম হওয়ার জন্য আপনাকে একটি নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে। এ মুহূর্তে গাজার বেশিরভাগ শিশুর মস্তিষ্ক মানসিক আঘাতে বিপর্যস্ত। অল্পবয়সী শিশু অপুষ্টি থেকে আজীবন মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যায় পড়ছে।
যখন কিশোর-কিশোরীরা তাদের ওপর হওয়া অবিচারের জন্য ক্ষুব্ধ হয়, তা অনুভব করতে পারে, তখন এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। অগাধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে; আর তা নিরাময় করতে দীর্ঘ সময় লাগবে।’
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহতের সংখ্যা ৮৫ হাজারেরও বেশি। শনিবার, ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই এক বিবৃতিতে বলেছেন যে দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় লড়াইয়ে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) আটজন সৈন্য নিহত হয়েছে। একটি পৃথক বিবৃতিতে আদ্রাই বলেছেন যে আইডিএফ বাহিনী হামাসের সামরিক শাখাকে পরাজিত করে তার রাফাহ ব্রিগেডকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।