ছবি: বহুমাত্রিক.কম
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেছেন, শুধু নিরাপদ খাদ্য নয় হেলথি নেশন গড়তে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হেলথি ফুড, স্বাস্থ্যকর খাবার।
তিনি বলেন, প্রতিটি জায়গায় স্বাস্থ্য কে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দিতে হবে। এক্ষেত্রে শিল্প কারখানার একটি প্রচ্ছন্ন ভূমিকা রয়েছে। যখনই হেলথি নেশনের কথা আসবে, তখনই ফুডস সেফটির কথা চলে আসে। এজন্য ইন্ড্রাস্ট্রি সম্পর্কে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সম্পর্কে সরকারের শক্তিশালী রাজনৈতিক অঙ্গীকার আছে।এটি প্রয়োগ করতে হবে। এটি বাস্তবায়নে সোসাইটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি সকলকে যার যার জায়গা থেকে সুস্থ জাতি গঠনে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য খুব প্রয়োজন।
অধ্যাপক এনায়েত হোসেন সোমবার সকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সিলেট জেলা কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত "নিরাপদ ইফতার ও জনস্বাস্থ্য" বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নগরীর দরগাগেইটস্থ এক অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ'র সচিব আব্দুন নাসের খান। এতে গেস্ট অফ অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের শুভেচ্ছা দূত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ পিপিএম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম।সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সিলেট জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সৈয়দ সরফরাজ হোসেন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও ক্যাব সভাপতি। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেণু, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ, ইমজার সাধারণ সম্পাদক গোলজার আহমদ,প্রবাসী ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ।
এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেট মেট্রো ও জেলার প্রতিনিধি, হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীবৃন্দ, পোড়া তেল সংগ্রহকারী সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি, কনজুমার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ক্যাব'র নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।