-নেত্রকোণা জেলার সর্ববৃহৎ চিরাং বাজারে ঘটেছে এই পুকুর চুরি
কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আদায়যোগ্য নেত্রকোণা জেলার সর্ববৃহৎ চিরাং বাজারে সরকারি নিয়ন্ত্রণে খাস কালেকশনের (টোল আদায়) নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমের টাকা আত্মসাতের পুকুর চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া অভিযোগে স্থানীয় বাট্রা গ্রামের মোঃ আবুল কাশেম জানায়, কেন্দুয়ার বিখ্যাত গরুর বাজারসহ সর্ববৃহৎ বাজার। গত বছর ১৪২৯ বাংলা সনে বাজারটির ইজারা দেয়া হয়েছিল ভ্যাটসহ আটানব্বাই লাখ টাকা। বর্তমানে এই বাজারটির ইজারা কোটি টাকার উপরে। কিন্তু চলতি ১৪৩০ বাংলা সনের বাজারটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও নেতৃস্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের আঁতাতের মাধ্যমে বাজারটি খাস কালেকশন শুরু করে।
বাজারে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নামে মাত্র উপস্থিত থাকলেও স্থানীয় সুবিধাভোগেীরাই অতিরিক্ত হারে বাজারে টোল আদায় করছে। এ নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীসহ সকলের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত তিন সপ্তাহে তিন হাট বাজারে মাত্র এক লাখ ষাট হাজার টাকা আদায় দেখিযেছে। অথচ প্রতি বাজার দুই লক্ষ টাকার উপরে আদায় হয়েছে। বর্তমানে এই বাজার থেকে সরকার প্রচুর রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চিরাং বাজারের বাসিন্দা বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান মিয়া জানান, ব্রিটিশ আমল থেকেই চিরাং বাজারটি একটি বিখ্যাত বাজার। বর্তমানে এই বাজারটির ইজারা কোটি টাকার উপরে। কিন্তু চলতি ১৪৩০ বাংলা সনের বাজারটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও নেতৃস্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের আতাতের মাধ্যমে বাজারটি খাস কালেকশন শুরু করে। প্রথম বাজারেই ওরা আড়াই লাখ টাকার উপরে টোল আদায় করে।
খাস কালেকশনের নামে ওরা যেভাবে আদায় করছে এভাবে আদায় করলে বছরে আদায় হবে প্রায় ২৮ লাখ টাকা। এতে বছরে সরকার রাজস্ব হারাবে ৮০ লাখ টাকার উপরে। এই বাজার থেকে টোল আদায়ের নামে পুকুর চুরি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে কথা বলেছেন। এরপর নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের সাথে মোবাইলে কথা বলে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন। এসময় একটি অভিযোগ দেয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান মিয়া জেলা প্রশাসককে আরো জানান তাকে দায়িত্ব দেয়া হলেও প্রতি সপ্তাহে বাজার থেকে দুই লক্ষ টাকা আদায় করে সরকারের ফান্ডে টোল করে দিতে পারবেন।
এ ব্যাপারে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, চিরাং বাজারে খাস কালেকশনে অনিয়মের ব্যাপারে একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। বাজারে খাস কালেকশনের দুর্নীতির ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল সোবাইলে, চিরাং বাজারে খাস কালেশন চলছে, খাস কালেশনে অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে আমার কোনো তথ্য জানা নেই।