প্রতীকী ছবি
যশোরে ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের দায়ে যুবকের ১০বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোঃ গোলাম কবির এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি সেতারা খাতুন। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আল আমিন সরদার কেশবপুর উপজেলার শ্রীফলা গ্রামের শহিদুল সরদারের ছেলে।
মামলার প্রাথমিক বিবরণীতে জানা যায় ওই শিক্ষার্থীর সাথে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আল আমিন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ১০ মে পর্যন্ত বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এরমাঝে ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক গঠন পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতে বলা হয় আল আমিন সরদারকে । কিন্তু সে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীর বাবা ২০২০ সালের ১৭ জুলাই কেশবপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট জমাদেন এসআই সুপ্রভাত মন্ডল। সর্বশেষ রোববার আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র আরও জানায়, এ মামলার বিচারকালে ওই শিক্ষার্থীর কন্যা সন্তান ভুমিষ্ট হয়। পরে ওই সন্তান ও আল আমিনের ডিএনএ পরিক্ষা করা হয়। সেখানে প্রমাণিত হয় সন্তান আল আমিনের।
আদালত আরও নির্দেশ দেন ,ওই কন্যা সন্তানের পিতৃত্ব পরিচয় অর্থাৎ জন্ম সনদে আল আমিনের নাম থাকবে। এছাড়া ওই কন্যার বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণ পোষন ব্যয়ভার সরকার বহন করবে। যা আল আমিনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায় করতে হবে। যদি আল আমিনের সম্পত্তি না থাকে সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সম্পতির মালিক হলে সেসময় সে সম্পত্তি থেকে ব্যয়ের টাকা আদায় করবে।