ছবি: বহুমাত্রিক.কম
বার বার হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. আব্দুস সোবাহান। রোববার সকালে সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
সম্মেলনে আব্দুস সোবাহান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত গাজীপুরের এ কাঁচা বাজার থেকে আমাদেরকে অবৈধভাবে সস্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে উচ্ছেদের মাধ্যমে বাজার দখল ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে নুরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। আইনানুগ নিয়ম ও দালিলিক সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাজারটিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারী ও সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠী, বাজার ও বাজারের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। যে কোন মূহুর্তে ত্রাসসৃষ্টিকারী ওই বাহিনী কর্তৃক বাজার কমিটির লোকজন ও ব্যবসায়ীরা জানমালের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সরকার কর্তৃক অনুমোদনকৃত বহুল পরিচিত এ কাঁচাবাজারটি ২০০৫ সালে জমির মালিক নুরুল হক হজে যাওয়ার আগে তৎকালীন জয়দেবপুর বর্তমানে জিএমপি বাসন থানাধীন আউটপাড়া মৌজাস্থ চান্দনা চৌরাস্তা সংলগ্ন (সিএস ও এসএ ১৩৭, ১৩৮ এবং আরএস ১৫৫ ও ১৫৬ নং দাগের খাতে ৭২.৫০ শতাংশ) পরিত্যক্ত জমিটিতে মাটি ভরাট করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে মো. নুরুল হক ষ্ট্যাম্পে লিখিতভাবে উল্লেখিত ৭২.৫০ শতাংশ জমিসহ জমিতে নির্মিত মার্কেটের সর্বময়ক্ষমতা তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাঃ শাহানাজ পারভীনের নামে লিখে দেন।
পরে নুরুল হকে স্ত্রী শাহানাজ পারভীন সাথে কথাবার্তা বলে পূর্বে বাজারটিত মাটি ভরাটসহ ২,৮৮,৫০০০০ নির্ধারণ করা হয়। ২০১৬ সালের ৪ জুন স্বাক্ষীদের উপস্থিতে শাহানাজ পারভীন আবারো ৫০,০০,০০০ টাকা গ্রহণ করে। সর্বমোট ৩,৩৮,৫০,০০০ টাকা জামানত দেখিয়ে ভাড়ার টাকা বৃদ্ধি করে মাসিক ভাড়া ১,২০,০০০ টাকা ও পরে আরো ৩০,০০০ হাজার টাকা যোগ করে ১,৫০,০০০ টাকা মাসিক ভাড়া নির্ধারণ করে। শাহানাজ পারভীনের সাথে দালিলিক চুক্তিপত্রের পর থেকে নিয়মিতভাবে ভাড়া পরিশোধ করে আসছি। বেশকিছু দিন যাবৎ আসামী নুরুল হক ও তার সহযোগী সাইদুর, তারিফসহ আরো ৫-৬ জন ব্যাক্তি অন্যায়ভাবে বর্ণিত মার্কেট থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, এমতাবস্থায় আমি হয়ে নুরুল হকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, গাজীপুরে বাড়ি ভাড়া মোকদ্দমা নং- ০১/২০১৫ এবং পরবর্তীতে উক্ত আসামী নুরুল হকের নিযুক্ত আমমোক্তার মোসাঃ শাহানাজ পারভীনের নামে একই আদালতে বাড়ী ভাড়া মোকদ্দমা নং- ১৩/২০২১ দায়ের করি। এ দুটি মোকদ্দমা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এছাড়াও নুরুল হক ও তার সহযোগীরা বাজার উচ্ছেদে মিথ্যা, ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান করে আদালত মামলা দায়ের করাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরগুলোতেও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছে। নুরুল হকের করা সি.আর মামলাটি পিবিআইয়ের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এমনকি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে নুরুল হকের করা অভিযোগগুলো মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন কাঁচাবাজার আড়তদার মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দরা।