
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ইসরায়েলি পণ্য সরবরাহকারী হিসেবে কেএফসি ও পিজ্জা হাটসহ অন্তত পাঁচটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল জানিয়েছেন, ইসরায়েলি পণ্য রাখার অজুহাতে কেএফসি, পিৎজা হাট, কাঁচা লঙ্কা, পানশি রেস্টুরেন্ট, মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। এ দিন দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী থেকে শুরু হওয়া ‘মার্চ ফর ফিলিস্তিন’ স্লোগানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে কিছু লোকজন এই হামলা চালায়।
কক্সবাজার পিৎজা হাটের ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, মূলত কেএফসি’র ওপর মানুষের ক্ষোভ বেশি। তারা মিছিল থেকে কেএফসি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, পাথর মারা শুরু করে। তবে কেএফসি’র ওপরের ফ্লোরে পিৎজা হাট হওয়ায় তাদের নিক্ষেপ করা পাথরগুলো এখানে এসে পড়ে। ফলে আমাদের বেশকিছু কাঁচ এবং যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আপাতত রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছি।
কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিলো। এই অজুহাতে আমাদের রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। অথচ আমরাও ফিলিস্তিনকে সাপোর্ট করি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস খান জানান, জনতার মিছিল থেকে ঢিল ছুড়ে মারার কারণে ছোটখাটো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটে নাই।
তিনি বলেন, সোমবার কক্সবাজার শহরে অনেকগুলো মিছিল হয়েছে। সবগুলো বিক্ষোভ মিছিলের আগে এবং পেছনে পুলিশের অবস্থান ছিল।