ছবি- সংগৃহীত
বিএনপি ও জামায়াতের তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে নাশকতা ঠেকাতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। অবরোধের সময় দেশের সব মহাসড়কে টহল দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার রাতেই বিজিবির ওই টহল শুরু হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় অবরোধ কর্মসূচিতেও বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রশাসনের কর্মকর্তারা। চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। চলাচল বা পণ্য পরিবহনে কোথাও বাধা দেওয়া হলে অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, টহলের পাশাপাশি চলছে গোয়েন্দা নজরদারি। বিশেষ করে মহাসড়ক ও রেলপথের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে।
গুজব বা মিথ্যা তথ্য, ছবি দিয়ে কেউ যেন অস্থিতিশীলতা বা আতঙ্ক ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারে কাজ করছে সাইবার টিম। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও নাশকতার কোনো তথ্য থাকলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানানোর অনুরোধ করেছে পুলিশ সদরদপ্তর।
মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিন দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এ নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর দল দুটির মহাসমাবেশের দিন ঢাকার কয়েকটি স্থান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রাণ যায় পুলিশ সদস্যসহ দু’জনের। পরদিন তাদের হরতালকেন্দ্রিক নাশকতা ও অন্য ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের।
এদিকে, ঢাকার বাইরের সব জেলার পুলিশ অবরোধ কর্মসূচিতে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সোমবার দফায় দফায় বৈঠক করে। জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলে কোনো আপত্তি নেই। তবে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
সড়কপথের পাশাপাশি রেলপথে যেন কেউ নাশকতা করতে না পারে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সহায়তায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে রেল পুলিশ (জিআরপি)।