ছবি- সংগৃহীত
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জের ধরে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের ২৩ নাগরিককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে।শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।তিনি জানান, এ সংক্রান্ত মামলায় বিভিন্ন ধরনের ১২-১৫ টি অস্ত্রও বিজিবির পক্ষে পুলিশকে দেয়া হয়েছে। মামলাটি লিপিবদ্ধ করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে বিজিবির পক্ষে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মঙ্গলবার ভোর ও রাতে সীমান্ত দিয়ে কিছু অস্ত্রধারীরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। যাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিল। যদিও এর মধ্যে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের কিছু সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে পড়েছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার রহমতবিল, আনজুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে অনেকে পালিয়ে এসেছে। এদের বেশিভাগই বিজিবি হেফাজতে অস্ত্র জমা দিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এর বাইরে আরও ৩০ জনের বেশি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ এদের বিজিবি হেফাজতে দিয়েছে বলে জেনেছেন। এর বাইরে কিছু অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার তথ্য বিভিন্নভাবে পাওয়া যাচ্ছে। যা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের সহঅধিনায়ক পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার বিষয়টি জানি না। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান নবী হোসেন ও তার সদস্যরা মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের তথ্য জানা গেছে। সে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সর্তকতা পালন করা হচ্ছে। তাকে পাওয়া মাত্রই গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া ক্যাম্পে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এপিবিএন সজাগ রয়েছে।