ফাইল ছবি
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা নিঃশর্তভাবে মিশরকে ১ শ’ ৩০ কোটি ডলার মার্কিন সামরিক সহায়তার অর্থ অনুমোদন দিয়েছে। এমন সময়ে এই অর্থ অনুমোদন করা হলো যখন কায়রো এবং ওয়াশিংটন গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
মিশরের শাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ভিন্নমত দমন করার জন্য অভিযুক্ত হওয়ায় গত বছর দেশটিতে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়ে অগ্রগতির শর্ত সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্র এই বার্ষিক সাহায্যের কিছু অংশ ছাড় দিয়েছিলো। তবে, পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এই বছর মিশর মানবাধিকারের কিছু ক্ষেত্রে ‘উন্নতি’ করেছে। এতে গাজা যুদ্ধে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধা হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে কায়রোর সহায়তার কথাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আঞ্চলিক শান্তি এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকারে মিশরের সুনির্দিষ্ট এবং চলমান অবদানের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে গাজার জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
৭ অক্টোবর ইসরাইলের উপর হামলার পর থেকে হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় পরবর্তী ইসরাইলি সামরিক অভিযান বন্ধ করার জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ‘সুদানে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে’ মিশরের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সেখানে ১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে।
মার্কিন আইন অনুসারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কংগ্রেসে একটি নথিতে বাজেট বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন।
ওয়াশিংটন বরাবরই মিশরের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনা করে আসছে এবং তাদের বার্ষিক সামরিক সহায়তার কিছু শর্তযুক্ত করে। গত বছর ওয়াশিংটন মানবাধিকার উদ্বেগের ভিত্তিতে প্রায় ৯৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা স্থগিত করেছিল।