ছবি : বুদ্ধদেব মিশ্র
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সেতুবন্ধনের জন্য ভারত চেম্বার অফ কমার্স বণিকসভার ১৪ জন প্রতিনিধি বাংলাদেশ আসছেন আজ ( ১৮ মার্চ ২০২৩)। সফরের সর্বক্ষেত্রে ব্যবসায়িক মেলবন্ধন রচনায় আলোচনা হবে বাংলাদেশ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে। একইসঙ্গে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
১৬ মার্চ কলকাতায় অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিসিসির সভাপতি এন জি খৈতান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক উপসংগঠনের নেতা সীতারাম শর্মা, বিসিসি-র সহ সভাপতি নরেশ পাশিয়া এবং কলকাতার বাংলাদেশের উপদূতাবাসের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো. শামসুল আরিফ। এদিনের এই সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ব্যবসায়িক সেতুবন্ধন রচনার একমাত্র উপাযে হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে খুবই মসৃণ হয়ে উঠেছে, পদ্মা সেতু তার প্রধান কারণ। কযেক ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশে পেঁছে যাওয়া যায় এবং বাংলাদেশের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সহজ সরল পথ এখন রযেছে। ভাষা এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে দুই বাংলাই বলতে গেলে এক, তাই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বণিক সভার পক্ষ থেকে যে বিষয়গুলি নিয়ে বাংলাদেশে আলোচনা হবে সেগুলি হলো প্রতিরক্ষা জিনিসপত্র তৈরি, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবসায়িক মেলবন্ধন এবং পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও বিকশিত করা। ব্যবসায়ী নেতারা জানান, পরবর্তীকালে দুই দেশের এই বণিকসভাতে ‘হেল্প ডেক্স’ খোলা হবে। যার মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা সর্বোপরি সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
তারা বলেন, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে কয়লা আমদানি করে কিন্তু ভারত থেকে খুব সহজেই সেই কয়লা আমদানিতে লাভবান হতে পারে দুই দেশই।এছাড়াও ভাসমান বন্দর খুব সহজেই তৈরি করা যাবে, যার মাধ্যমে দুই দেশের কম খরচে পণ্য পরিবহণ সম্ভব।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, নদীর মাঝখানে বড় বড় জাহাজ থেকে মাল অবমুক্রেত করে ছোট ছোট নৌকার মাধ্যমে ছড়িযে দেওয়া যাবে ছোটখাটো বন্দরেও। বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া যাবে দু’দেশেরই পর্যটন ক্ষেত্রে। ভারতে যেমন পাহাড় রযেছে তেমন বাংলাদেশের সমুদ্রতট রয়েছে দেখার মতো। তাই পর্যটন ক্ষেত্রে কিন্তু বিশাল এক সম্ভাবনা রযেছে। জামা কাপড়ের ব্যবসা নিয়েও সম্ভাবনা চোখে পড়ছে।