Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

আষাঢ় ২১ ১৪৩১, রোববার ০৭ জুলাই ২০২৪

ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আর কখনো প্রকাশ করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ৩ জুলাই ২০২৪

প্রিন্ট:

ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আর কখনো প্রকাশ করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

ফাইল ছবি

প্রথমবারের মতো নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩০ জুন পর্যন্ত নিট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মূলত মোট রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন মেয়াদি বিনিয়োগ এবং ঋণের দায় বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যে হিসাব করা সেটিই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ বা এনআইআর।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নিট রিজার্ভের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের বন্ডে থাকা বিনিয়োগও দেখানো হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের দপ্তর থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আর সামনের দিনগুলোতে কখনো প্রকাশ করা হবে না। তবে বিপিএম–৬ অনুযায়ী যে রিজার্ভ তা প্রকাশ হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত নিট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে নিট রিজার্ভ গণনা করা হয়। গ্রস বা মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানা যায়। নিট রিজার্ভের তথ্য এর আগে কখনোই প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনের পর গতবছর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিপিএম৬ অনুসারে রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালকদার গত বছরের নভেম্বরে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছিলেন, এ দেশে একজন তথাকথিত অর্থনীতিবিদ যে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাবি করেছেন তা বাংলাদেশ হিসাব করে না। পরবর্তীতে গভর্নরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক এনআইআরের হিসাব অস্বীকার করে আসছিলেন। যদিও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের তথ্য দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত সাংবাদিক এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছে এই তথ্য দিতে গড়িমসি করে আসছিল। তবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র এনআইআরের তথ্য প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের গ্রস রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু মহামারীর সংকট এবং তারপর ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে তৈরি হয় ডলার সংকট। তাতে রিজার্ভে চাপ পড়ে এবং সরকারকে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ বাড়াতে আইএমএফের কাছে ঋণ চাইতে হয়। সেই ঋণের শর্ত হিসেবে বেশ কিছু আর্থিক ও নীতি সংস্কারে মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
 

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer