ছবি- সংগৃহীত
কনজিউমার টেকনোলজি কোম্পানি পাঠাও, ফিনটেক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল উত্তোলন করেছে। এই বিনিয়োগের ফলে আজ পর্যন্ত পাঠাওয়ের মোট ফান্ড রেইজ ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশের প্রি-সিরিজ বি স্টার্টআপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
এই রাউন্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ভেঞ্চারসুক। এছাড়া অ্যাঙ্কারলেস বাংলাদেশ, ওসাইরিস গ্রুপ, সাউথ এশিয়া টেক এবং ওপেনস্পেস ভেঞ্চারসসহ আরো কয়েকটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিয়েছে।
গত দুই বছরে লাভজনক ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠার পর পাঠাও এখন ফিনটেক সেবা সংযুক্ত করে গ্রাহকদের আরো উন্নত সেবা দেয়ার পরিকল্পনা করছে। পাঠাও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, পাঠাও শুধু একটি ব্র্যান্ড নয়, এটি একটি লাইফস্টাইল। ফিনটেক খাতে আমাদের উদ্যোগ দেশের আর্থিক খাতকে নতুনভাবে গড়ে তুলবে।"
পাঠাও এরই মধ্যে রাইড-শেয়ারিং, লজিস্টিকস এবং ফুড ডেলিভারিতে দেশের শীর্ষে রয়েছে। ফিনটেক সেবায়ও রয়েছে তাদের অগ্রগতি। পাঠাও ডেবিট ওয়ালেট Pathao Pay এবং দেশের প্রথম ‘বাই নাও পে লেটার’ সেবা Pathao Pay Later নিয়ে এসেছে।
পাঠাও-এর মেশিন লার্নিং পদ্ধতির কারণে ‘পে লেটার’ সেবা ইতোমধ্যে লাভজনক হয়েছে। নতুন তহবিলটি এই ফিনটেক সেবাগুলোর পরিসর বাড়াতে, প্রযুক্তি উন্নয়নে এবং বাজার বিস্তারে সহায়ক হবে।
ফাহিম আহমেদ আরো বলেন, আমাদের মূল গ্রাহক বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম। প্রচলিত ব্যাংকগুলো তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা তরুণ পেশাজীবী ও প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই।"
ভেঞ্চারসুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তামের কাদুমি বলেন, পাঠাও বাংলাদেশের ফিনটেক খাতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।"
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাও ১ কোটিরও বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়েছে এবং দেশের গিগ অর্থনীতি ও ছোট ব্যবসায় ৫ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।