ছবি- সংগৃহীত
ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। রোববার দুপুর ২টায় ভারতীয় একটি ট্রাকে এই ডিম আমদানি হয়। বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দ্বিতীয়বারের মতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ডিমের চালান আমদানি হলো। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ৩১ হাজার পিস ডিম আমদানি করে হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন নামে ঢাকার একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এক হাজার ১০৪ বক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। আমদানি করা এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৪৩ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য পড়ে ৫ টাকা ১৬ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে এক টাকা ৮৪ পয়সা। প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা। এমতাবস্থায় পেঁয়াজ ও আলুর মতো ডিম আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে এই ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি করেছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
বেনাপোল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, আমদানি করা ডিম খাওয়ার উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের আমদানি ডকুমেন্টস পেয়েছি। ডিমের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রাজস্ব আদায় করে যত দ্রুত সম্ভব ডিমের চালাটি খালাস করে দেওয়া হবে আজই। ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের কাস্টমস কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।