
ফাইল ছবি
ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে রোববার থেকে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব নদ-নদী ও সাগরে জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। বিশেষ করে মা ইলিশ রক্ষা ও নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে প্রতিবছর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
নিষিদ্ধ এই সময়ের মধ্যে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়নে নদ-নদী ও সাগরে মৎস্য বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর কঠোর নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নিষেধাজ্ঞা সফল করতে মৎস্য বিভাগকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলার সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক, আড়তদার ও জেলেরা। তবে, মৌসুমের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ বার দুর্যোগের কবলে পড়ে এবং মাঝখানে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় সাগরে ঠিক মতো জাল ফেলতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আহরণ করতে পারেননি জেলেরা। ফলে অধিকাংশ মালিক-আড়তদার লোকসানে রয়েছেন।
লোকসানে পড়ে অনেকেই তাদের এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলছেন। তারা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত মালিক-আড়তদারকে সরকারি প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মৎস্য সংশ্লিষ্টরা।এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সাগর থেকে ইলিশ আহরণ করে শরণখোলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরে আসে এফবি নাসরিন নামে একটি ফিশিং ট্রলার। ওই ট্রলারের মাঝি মো. ছালেক হাওলাদার জানান, এই ট্রিপে তারা ৬০০ পিচ ইলিশ পেয়েছেন।
কিন্তু মাছের সাইজ (আকার) ছোট। তাদের ট্রলারে ১০ জন জেলে। সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। মাছের দাম ভালো পেলে খচর উঠতে পারে। ট্রলার মাঝি ছালেক আরো জানান, এ বছর বার বার দুর্যোগে তারা সাগরে ঠিকমতো জাল ফেলতে পারেননি।