Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

আশ্বিন ২৭ ১৪৩১, রোববার ১৩ অক্টোবর ২০২৪

এলসি নিচ্ছে না বিদেশি অনেক ব্যাংক 

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

প্রিন্ট:

এলসি নিচ্ছে না বিদেশি অনেক ব্যাংক 

ফাইল ছবি

দুই বছর আগের তুলনায় দেশে ডলার প্রবাহে বেশ উন্নতি হয়েছে। আমদানি দায় ও বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপও কমে এসেছে। তবে ডলার সরবরাহ বাড়লেও বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ে স্বস্তিতে নেই দেশের ব্যাংকগুলো। বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণসীমা কমিয়ে দেওয়ায় ঋণপত্র (এলসি) খুলতে বিড়ম্বনা রয়ে গেছে।

'কান্ট্রি রেটিং' খারাপ হওয়া ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত না হওয়ায় দেশের ব্যাংকগুলোকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলোর গ্যারান্টির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের এলসির গ্যারান্টির বড় অংশই দেয় মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাংকগুলো। ভারত ও ইউরোপ-আমেরিকার বৃহৎ ব্যাংকগুলোও কিছু এলসির গ্যারান্টর হয়। এজন্য বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর জন্য একটি ঋণসীমা অনুমোদিত থাকে। 

একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণসীমা কমিয়ে দেওয়ায় এলসি খুলতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। এক-দেড় বছর আগের তুলনায় বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে ডলারের সরবরাহ বেশ ভালো। কিন্তু দেশের কিছু ব্যাংকের নাজুক পরিস্থিতির কারণে বিদেশিদের কাছে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। এমনিতেই বাংলাদেশের কান্ট্রি রেটিং খারাপ। তার সঙ্গে ব্যাংক খাতের অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণসীমা কমিয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে এমনিতেই আমদানির চাহিদা কম। যে চাহিদা আসছে, বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণসীমা কমিয়ে দেওয়ার কারণে সে এলসিও খোলা যাচ্ছে না। 

ডলার সংকটের কারণে দুই বছর ধরেই বিদেশি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর জন্য তাদের ঋণসীমা কমিয়ে এনেছে। সম্প্রতি পরিস্থিতি আরো বেশি নাজুক হয়েছে। ১১টি বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া, তারল্য সংকট ও নানা নেতিবাচক প্রচারণার কারণে বিদেশি অনেক ব্যাংকই বাংলাদেশের কিছু ব্যাংকের এলসি নিচ্ছে না। যে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বেশ ভালো তাদের জন্যও ঋণসীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলসি খোলার জন্য দেশের ব্যাংকগুলোকে বাড়তি কমিশন বা ফিও গুনতে হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। 

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer