ফাইল ছবি
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে জিটুজি পদ্ধতিতে দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য মোট ৯০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া এবং ৩০ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট রয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩৩৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩৩ কোটি ৮ লাখ ১২ হাজার টাকা।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৫ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি সই হয়। সেই চুক্তির আলোকে এখন ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। কাতার এনার্জি মার্কেটিং এর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি মেট্রিক টন ৩৬৯.৬৭ মার্কিন ডলার।
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৪২.৩৩ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
এছাড়া চট্টগ্রামের টিএসপিসিএল-এর জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট (৭০% বিপিএল মিনিমাম) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ কমিটি। এ প্রস্তাবটিও শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৮২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।