ফাইল ছবি
রাজধানীর পূর্বাচলে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এবারের বাণিজ্য মেলায় আটটি দেশের ব্যবসায়ীরা অংশ নিচ্ছেন। মেলার টিকিটের মূল্য (জনপ্রতি) ৫০ টাকা (প্রাপ্তবয়স্ক) এবং শিশুদের (১২ বছরের নিচে) ক্ষেত্রে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীরা তাদের কার্ড প্রদর্শন করে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া নিয়ে আটটি দেশ মেলায় অংশ নিচ্ছে। আগের মতোই সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মাসব্যাপী এই মেলা।
এবারের মেলায় প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল ও প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় প্রথমবারের মতো ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ বছর থাকছে বিআরটিসির দুই শতাধিক বাস। এবারো বাণিজ্য মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। এছাড়া পাশাপাশি বিশেষ ছাড়ে থাকছে উবার সার্ভিস।
কুড়িল বিশ্বরোড, ফার্মগেট (খেজুরবাগান/খামারবাড়ী), নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বাণিজ্য মেলার উদ্দেশে বিআরটিসির ২০০টির বেশি মেলার জন্য নির্ধারিত শাটল বাস চলাচল করবে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণ থেকে একই গন্তব্যে শাটল বাসের সর্বশেষ ট্রিপ ছাড়বে রাত ১১টায়।
এছাড়া মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ৩৬ চত্বর। একই সঙ্গে দেশের তরুণসমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।
১৯৯৫ সাল থেকে শেরেবাংলা নগরে ১ জানুয়ারি শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।