ফাইল ছবি
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল হক শামীম সিআইপি'কে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলার ফাঁদে ফেলে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সুবিচার চেয়েছেন।
সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার চেয়ে উল্টো হয়রানির মাত্রা বেড়েছে বলেও গণমাধ্যমকে অভিযোগ করেছেন এই ব্যবসায়ী নেতা। এতে ‘ব্যক্তিজীবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-উভয়ই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে' উল্লেখ করে শামীম বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ হলে বিপুল সংখ্যক কর্মী কাজ হারাবে। আরও সংকটে পড়বে দেশের অর্থনীতি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারি দায়ের হওয়া একটি মামলায় মো. আমিনুল হক শামীমসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. শহিদুল ইসলামকে। অথচ তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা দেশের বাইরে অবস্থান করছে। তবুও পরিকল্পিতভাবে শামীমকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
ব্যবসায়ী নেতা শামীম তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার বিষয় নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো অভিযোগেই সাড়া মেলেনি। বরং প্রতিকারের বদলে তাকে নতুন নতুন জটিলতার মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, তাকে ময়মনসিংহে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এ ব্যপারে রেঞ্জ ডিআইজিকে একাধিক বার অবহিত করেও কোন ফল পাননি। পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় মৃত ব্যক্তিকেও আসামী করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ১৭ নভেম্বর ও ২৭ নভেম্বর ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজিকে পত্র মারফত বিস্তারিত অবহিত করেন। ডিআইজি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে গত ১২ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী ও স্বাক্ষী হয়ে আরেকটি সন্ত্রাসবিরোধ আইনে আরও একটি মামলায় শামীমকে আসামী করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থলে যাদের নেতৃত্বের কথা বলা হয়েছে তাদের অনেকেই ৫ আগষ্টের পর দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বিগত জুলাই আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাগর হত্যা হওয়ার পর সর্ব প্রথম আমিনুল হক শামীম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে সাগর হত্যায় জড়িত কারা এবং তাদের শাস্তি দাবি করে পোস্ট করেন। তিনি তার সকল প্রামাণ্য তথ্য তুলে ধরে নিজে কোন রাজনৈতিক সুবিধা বা অবৈধ আয় করেছেন কিনা তা তদন্তের দাবি জানান।
এফবিসিসিআই-এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে ময়মনসিংহ চেম্বারের সভাপতি শামীম বলেন, “আমার ব্যবসা ও পরিবারের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে। মিথ্যা মামলাগুলো শুধু আমার পেশাগত জীবনে ক্ষতি করছে না, বরং আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করছে।”