
ফাইল ছবি
রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে জড়িত করার বিষয়ে নিজের আপত্তি প্রকাশ করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয় বলেই মনে করেন তিনি।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, মূলত বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর প্রতি ইঙ্গিত করেই এমন মন্তব্য করেছেন জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়ে বা মন্তব্য নিয়ে যা বলার সেটা প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলবেন। কিন্তু আমার মনে হয় সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত।’
রাহুল গান্ধী বরাবরই নরেন্দ্র মোদির ‘চীন নীতি’র সমালোচক। রাহুলের দাবি, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীন ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পরিকাঠামো তৈরি করছে। অথচ নয়াদিল্লি নীরব। তার দাবি, মোদি চীনকে ভয় পান। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতে গিয়েই সম্প্রতি রাহুল বলেন, ‘খোদ সেনাপ্রধানও মেনে নিয়েছেন যে, চীন ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়েছে। এবং ভারতীয় এলাকায় পরিকাঠামো তৈরি করছে।’
রাহুলের দাবি ছিল, সেনাপ্রধান নিজেই ভারত সরকারের ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী রাহুলের সেই মন্তব্য খণ্ডন করে নিজের পুরনো মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেন।
বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, এ নিয়ে রাজনৈতিকভাবে যা বলার খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রীই সেটা বলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু আমার মনে হয়, সেনাকে এভাবে রাজনীতিতে টানা উচিত নয়।
কিন্তু রাহুল গান্ধী সেনাপ্রধানের ঠিক কোন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ওই দাবি করেছিলেন? উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলছেন, ‘আমার মন্তব্য বিকৃত করা হচ্ছে। সেটা ভারত থেকেই করা হোক বা চীন থেকে। আমি শুধু বলেছি, ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনো বিতর্কিত এলাকায় প্রবেশ করেনি বরং আরও স্বচ্ছন্দ এবং আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে রয়েছে।’
ভারতীয় সেনাপ্রধানের ব্যাখ্যা, ‘২০০১ বা ২০০৭ সালে আইটিবিপি চীন সীমান্তের দায়িত্বে ছিল, তখন সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ছিল কম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও এগিয়েছি, একইভাবে চীনও এগিয়েছে। এখন বেশি সংখ্যক বাহিনীর জন্য বেশি পরিকাঠামোর প্রয়োজন। সেই মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।