
ছবি- সংগৃহীত
ওয়ালটন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর চেয়ারম্যান প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ।
গত শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি। আইসিবি চেয়ারম্যান বলেন, ওয়ালটন সব ধরনের পণ্যই তৈরি করছে ওয়ালটন। বিশাল জায়গাজুড়ে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্যের অত্যাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টস গড়ে তুলেছেন তাঁরা। ওয়ালটনের পণ্য এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। দেশের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি ৪০টিরও বেশি দেশে নিজেদের তৈরি পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। ওইসব দেশ ওয়ালটন পণ্যের গুণগতমান এবং মূল্য প্রতিযোগি সক্ষমতা যাচাই করেই নিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় সুনাম।
শনিবার সকালে আইসিবি চেয়ারম্যানসহ সদ্য বিদায়ী ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আবুল হোসাইন এবং আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মাহমুদা আক্তার ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছালে তাঁদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম, এফসিএস।
এরপর অতিথিরা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ ওয়ালটনের মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, রেফ্রিজটারেটর ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ইউনিট সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ওয়ালটন ব্র্যান্ড এখন সারা বিশ্বে সমাদৃত। এটা বাংলাদেশের গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আগে যেসব পণ্য বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হতো এখন সেসব ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে ওয়ালটন। তাছাড়া দেশের সেরা করদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও একটি। এভাবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলছে ওয়ালটন।
সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়ালটন নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইসিবি চেয়ারম্যান বলেন, “ওয়ালটনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে কোনো লাভ নেই। যারা সমালোচনা করছেন তাদের উচিত ওয়ালটনের মতো এমন একটি উৎপাদনমুখী শিল্প তৈরি করে উদাহরণ সৃষ্টি করা। বরং সবার দেখতে হবে ওয়ালটন পণ্যের গুণগতমান ঠিক আছে কিনা, সাশ্রয়ী দামে তারা গ্রাহকের হাতে পণ্য তুলে দিতে পারছে কিনা এবং প্রতিবছর শেয়ারহোল্ডারদের ভালো ডিভিডেন্ট দিতে পারছে কিনা। এ সকল কাজগুলো প্রতিনিয়ত সফলতার সঙ্গে করে দেখাচ্ছে ওয়ালটন।”