
ফাইল ছবি
দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে দুটি সমুদ্রবন্দরের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল। চলতি (এপ্রিল) মাসের মাঝামাঝি নাগাদ চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মধ্যে এই রুটটি চালু হওয়ার কথা জানিয়েছেন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। বৃহত্তম খুলনাঞ্চলের পণ্য আমদানি-রফতানি সুবিধা বাড়াতেই এমন উদ্যোগ বলেও জানায় ওই প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠার পর নানা সংকটে থাকা মৃতপ্রায় দেশের দ্বিতীয় মোংলা সমুদ্রবন্দর এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক কর্মতৎপরতায় এই বন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন হয়েছে। বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন বাড়ায় কর্মব্যস্ততাও বেড়েছে শ্রমিকদের। একই সঙ্গে আয়ও বেড়েছে মোংলা বন্দরের। তবে নাব্য সংকট ও ব্যবসায়ী সুবিধাকে কাজে লাগাতে না পারা এবং বাড়তি ব্যয়সহ নানা কারণে এই বন্দরে কনটেইনার জাহাজ যাতায়াত করে মাসে কমবেশি একটি। অথচ এই অঞ্চলের মাছ, হিমায়িত পণ্য ও পাটসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
এদিকে এই সম্ভাবনাকে ভিন্ন আঙ্গিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে ‘সি গ্লোরি’ নামের চট্টগ্রামের একটি শিপিং এজেন্ট। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম-মোংলা রুটে ছোট জাহাজে কনটেইনার পরিবহন করতে চায়। যাতে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে খালি কনটেইনার নিয়ে মোংলা বন্দর থেকে পণ্য ভর্তি করে আবার চট্টগ্রাম হয়ে বিদেশি পাঠানো। সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে একবার জাহাজ পরিচালনা করে সুফলও মিলেছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ীরা।
চট্রগ্রামের ‘সি গ্লোরি’ শিপিং এজেন্টের ব্যবস্থাপক মাইনুল হোসাইন বলেন, ‘যদি আমাদের ফিডার হিসেবে ট্রিট করা হয়, তখন আমাদের প্রসেসগুলো আরও বেশি জটিল হয়ে যাবে। পানগাঁওয়ের মতো চট্টগ্রাম থেকে মোংলা বন্দরে যদি খালি কনটেইনার নিয়ে যাওয়া হয় তখন প্রসেসগুলো সহজ হবে এবং এতে ব্যবসায় এক্সেল করা সম্ভব।’