ফাইল ছবি
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আগামী ৯ই মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে ইভিএম-এ ভোট গ্রহনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। সিটির বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটু নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করায় তাঁকে পূনরায় নির্বাচনের ব্যাপারে ভোটারদের মাঝে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। তার প্রতিদ্বন্ধী কে হবেন তা এখনো পরিষ্কার হচ্ছে না।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে আরো ৪ জন মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে জোর আলোচনা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক সমীকরণ ও সমর্থন আদায় সাপেক্ষে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রার্থী হবেন এমনটাই জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত হলে দুই দল থেকে প্রার্থী হতে পারে।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন-২০২৪ এর রিটার্নিং অফিসার ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে একজন, ৩৩ টি ওয়ার্ডে ৩৩ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১১ জন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন।
নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডে ২৮ টি ভোট কেন্দ্র ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯৯০টি তন্মধ্যে স্থায়ী ভোট কক্ষ ৮৭০ টি ও অস্থায়ী ভোট কক্ষ ১২০টি।
নগরীর মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন। এবার পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটার বেশি ৮ হাজার ৭৪৩ জন। হিজড়া সম্প্রদায়ের ৯ জন ভোটার সিটি নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন।
আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আসছে তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু, মহানগর আ.লীগের সহ-সভাপতি গোলাম ফেরদৌস জিলু এবং মহানগর আ.লীগের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট ফারামার্জ আল নূর রাজীব।
সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, আমি আমার অবস্থান থেকে সার্বক্ষণিকভাবে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে কাজ করেছি। মেয়র হিসেবে নগরবাসীর সকল সেবা সুনিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য মেনেই কাজ করেছি। একটি দিনের জন্যও নগরবাসী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কথা চিন্তা করিনি। প্রতিনিয়তই আমি নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেবাগুলো সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়া একজন জনপ্রতিনিধির বড় দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা। নগরের উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয়সহ যে কোনো প্রয়োজনে আমি নগরবাসীর পাশে থেকে তাদের প্রত্যাশাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করেছি।
মেয়র টিটু বলেন নগরীর অনেক উন্নয়ন আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। অনেক কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা যে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি সেগুলোর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করতে পারলে নগরীর চিত্রই পাল্টে যাবে।
নগরবাসী আবারও সেবা করার সুযোগ দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মসিকের এই প্রথম মেয়র টিটু বলেন, দীর্ঘদিন নাগরিকবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে সামাজিক প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করেছি। সেই দাবি নিয়েই আবারও প্রার্থী হচ্ছি। নিশ্চয়ই আমার দীর্ঘদিনের কর্মের মূল্যায়ন নগরবাসী করবেন এবং আগামী দিনে আমাকে আবারও সেবা কাজ করার সুযোগ দেবেন।