![ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ওপর শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষোভ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ওপর শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষোভ](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/muhib-2407031822.jpg)
ছবি- সংগৃহীত
ইংলিশ মিডিয়াম ও অভিজাত স্কুলের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়লেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আজ বুধবার ‘ডিএনসিসি স্মার্ট স্কুলবাস সার্ভিস’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ ক্ষোভ ঝাড়লেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১ হাজার গুণ বেশি ফি নিয়ে অনেক মিডিয়াম স্কুল কেন নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারছে না? বিদ্যালয়ের রুমগুলো কনভার্ট করে পরিচালিত হবে- সেটা সাময়িকভাবে দেওয়া যায়; কিন্তু আজীবন আমি সেখানে থেকে যাব, আর বিদ্যালয়ের যে সারপ্লাস হবে সেটা আমরা যারা উদ্যোক্তা তারা পকেটে করে নিয়ে যাব, বিদ্যালয়ের জন্য কোনো ক্যাম্পাস করব না, সেই অরাজকতা আমরা চলতে দিতে পারি না।’
চলমান ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে একজন শিক্ষার্থীর নির্ধারিত কার্যক্রমকে অবশ্যই করতে হবে। সে যদি আগে থেকে জানেও তাকে কী কার্যক্রম করতে হবে। সেখানে (নতুন শিক্ষাক্রম) কোনো গতি নেই, এখানে ফাঁস হওয়ার কোনো বিষয় নেই।’
তিনি বলেন, ‘এটা পাবলিক পরীক্ষা নয়, এটা শ্রেণিকক্ষভিত্তিক পরীক্ষা। সেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী প্রকাশ করবে তার শিখনফলটি ও লাইন আউটকাম অর্জিত হয়েছে কি না।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখানে প্রমাণ করার বিষয় নেই, মেধা প্রমাণের বিষয় নেই, শিক্ষক দেখবেন শিক্ষার্থীর শিখনফল অর্জিত হয়েছে কি না। সেখানে একে অপরের থেকে যদি জানার চেষ্টা করে তাতে সমস্যা নেই। তাকে উপস্থাপনার সক্ষমতা যেটা, কমিউনিকেশন্স ও প্রেজেন্টশন স্কিল। সেখানে কিন্তু তাকে নির্ধারিত মাত্রায় পারদর্শিতার যে স্তর, সেটি অতিক্রম করতে হবে। সুতরাং প্রশ্নফাঁস করলেও সেটির কোনো উপকারিতা নেই। একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে পারদর্শিতার স্তর অতিক্রম করতে হবে।’
এ সময় যানজট থেকে মুক্তির জন্য উত্তরের প্রতিটি স্কুলকে দ্রুত নিজস্ব পরিবহন সার্ভিস চালুর করা না হলে স্কুল বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম