ছবি: বহুমাত্রিক.কম
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে র্যালি, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নিরবতা পালন,কালো ব্যাচ ধারণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.মো: আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার,ইকিউএসি এর ডিরেক্টর, হল প্রভোস্ট,ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক ,বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, সাংবাদিক সমিতি, ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কমনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বছরব্যাপী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনীরা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। রাজাকার বাহিনীর সহযোগিতায় এর মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর সবথেকে বেশি বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়েছিল । পরে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এই দিনকে "শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস" ঘোষণা করেন।