ছবি- সংগৃহীত
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ডাটা অ্যান্ড সায়েন্সেস “দি নাও টকস” (The Now Talks) নামে একটি আলোচনা সিরিজ শুরু করেছে। সোমবার “স্বনির্ভরতা অর্জন: উন্নয়নশীল বিশ্বে নিজস্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ” (স্ট্যান্ডিং অন আওয়ার ওন ফিট: ডেভেলপিং হোমগ্রোন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড থ্রু অ্যাকটিভিজম) শিরোনামে এই “নাও টক” সিরিজের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্বের স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশ্বমানের বৈজ্ঞানিক পরিবেশ গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন স্ট্রিং থিওরির অন্যতম বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী, ব্রেকথ্রু ফান্ডামেন্টাল ফিজিক্স পুরস্কার জয়ী প্রফেসর অশোক সেন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিকস, নিশিনা এশিয়া পুরস্কার বিজয়ী ও ব্ল্যাকহোলের কোয়ান্টাম গঠনের এপর গবেষণা পরিচালনাকারী বিজ্ঞানী প্রফেসর সুব্রত রাজু, দিল্লির যোশী অধিকারী ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ, কৃষি অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর জয়া মেহতা এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ডাটা ও সায়েন্সেস এর ডিন প্রফেসর মাহবুবুল আলম মজুমদার। প্যানেল আলোচনাটি পরিচালনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য সাদাফ সাজ।
আলোচনায় বক্তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ অতিক্রমের কৌশল নিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তারা।
প্রফেসর অশোক সেন বলেন, সীমিত সম্পদের মধ্যেও মেধা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সম্ভব। প্রফেসর জয়া মেহতা বিজ্ঞান ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সামাজিক কর্ম-তৎপরতাকে যুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
প্রফেসর সুব্রত রাজু বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে মেধা পাচার ঠেকানোর জন্য শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। তিনি গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন যাতে মেধাবীরা নিজ দেশে থেকেই অবদান রাখতে পারেন।
অধ্যাপক মাহবুবুল আলম মজুমদার বলেন, মৌলিক বিজ্ঞান শিক্ষার ভিত্তি শক্তিশালী করতে হবে। তিনি নিজস্ব জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যার সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি তার বক্তব্যে গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাকের উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে এসব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় উদ্যোগের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি তাদের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। তিনি দেশে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন যাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে না গিয়ে দেশের উন্নয়নে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।