
ছবি: বহুমাত্রিক.কম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এর নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে কোষাধ্যক্ষ এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবাররের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, বিভিন্ন বিভাগ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য যারা শহিদ হয়েছেন এবং জুলাই ২৪ এ দ্বিতীয় বার স্বাধীনতার জন্য শহিদ হয়েছেন, তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন তাঁদের সুস্থতা কামনা করছি। স্বাধীনতা শব্দটির অর্থ কি আগে সেটা আমাদের বুঝতে হবে। স্বাধীনতা মানে মৌলিক চাহিদার ৫টি জিনিস। জুলাই ২৪ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, সেটা আমরা সততা ও কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করবো।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, আমরা এমন একটি দিবসে এখানে একত্রিত হয়েছি, যে দিবসটির কল্যাণে আমরা শুধুমাত্র একটি পতাকা বা একটি ভূখন্ড পাইনি, এটি আমাদের কথা বলার অধিকার, মতামত প্রকাশের অধিকার, কাজের অধিকার এনে দিয়েছে। একসময় আমরা নির্যাতিত ছিলাম। সেই নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য এদেশের আপামর জনসাধারণ ১৯৭১ সালে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদেরকে আজকের এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এদেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ বা উপলব্দিটুকু এখনো পায়নি। এই না পাওয়ার পিছনে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও আমি মনে করি, জাতি গঠনে, জাতি বিনির্মানে এদেশের শিক্ষিত ও সভ্য সমাজের যে ভূমিকা তাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারে। এদেশের ছাত্র জনতার ২৪ এর গণআন্দোলনকে ধারন করে দৃঢ় ঐক্য, একতা, সততা, আন্তরিকতা, দেশেপ্রেমের মাধ্যমে সুন্দর সাম্যের বাংলাদেশ উপহার দিতে আমরা নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবো।
এর আগে ২৫ তারিখ বাদ জোহর ২৫ মার্চের রাতে নিহতদের স্মরণে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মুনাজাত এবং রাত ১০.৩০টা থেকে ১০.৩১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট কর্মসূচি পালন করা হয়।