ফাইল ছবি
গেল এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন সিনেমার অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী অঞ্জনা রহমান। নতুন বছরের প্রথম দিন অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে এই চিত্রনায়িকাকে নেওয়া হয় রাজধানীর পিজি হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে। খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন অঞ্জনার ছেলে নিশাত রহমান মনি।
তিনি বলেন, ‘আম্মুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। গতকাল তা অনেকে বেড়েছে। তাই দেরি না করে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিতে হয়েছে। আম্মুর অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন কিছু করার নেই। এই মুহুর্তে স্রষ্টার কৃপা ছাড়া আমাদের কিছুই করার নাই।’
জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তির আগে টানা ১৫ দিন ধরে অঞ্জনা জ্বরে ভুগছিলেন। ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। হাসপাতালে নেওয়া হলে তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত অভিনেত্রীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।
শুরুটা হয় ১৯৭৬ সালে, ‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে। এরপর থেকেই সিনেমায় টানা কাজ করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে ৩০টি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। এর মধ্যে আছে- ‘অশিক্ষিত’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘আশার আলো’, ‘জিঞ্জির’, ‘আনারকলি’, ‘বিধাতা’, ‘বৌরানী’, ‘সোনার হরিণ’, ‘মানা’, ‘রাম রহিম জন’, ‘সানাই’, ‘সোহাগ’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘অভিযান’ ইত্যাদি।