ছবি- সংগৃহীত
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে কিছুটা নিম্নমুখী হলেও এই ‘প্যান্ডেমিক’ কোথায় গিয়ে থামবে, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ৩৩তম সপ্তাহে এসে ঢাকার পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী দেখা গেছে। রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।রোববার বেলা আড়াইটায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত শুরু হওয়ার পর ২৯-৩০তম সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে। এরপর থেকে ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তবে ৩১-৩২তম সপ্তাহে ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গেছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, যেকোনো ‘প্যান্ডেমিক’ই একটি নির্দিষ্ট সময় শুরু হয়, একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে গিয়ে শেষ হয়। তবে এ বছর ডেঙ্গুর গন্তব্য কোথায় গিয়ে থামবে, সেটি স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
ডা. শাহাদাত বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২৬ শ’র বেশি ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। কিন্তু সবমিলিয়ে রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১৯৭৪ জনের মতো। তার মানে হলো এখনো বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ছয় শতাধিক ডেঙ্গু শয্যা ফাঁকা আছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে ঢাকা মেডিকেলে, ৩১৫ জন। এরপরই মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান।
ডা. শাহাদাত বলেন, গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা দেখছি, নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গুতে পুরুষদের আক্রান্তের হার ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ হলেও নারীদের আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো, আক্রান্তের দিক থেকে পুরুষরা এগিয়ে থাকলেও ডেঙ্গুতে পুরুষের তুলনায় নারীদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান যদি আমরা দেখি, ৪৬ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ মারা গিয়েছে ৩৩ জন। তার মানে ডেঙ্গু আক্রান্ত নারীদের প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।