ছবি- সংগৃহীত
চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার ও পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকার জন্য এ বছর তারা নোবেল পুরস্কার পেলেন।
সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেলে তাদের নাম ঘোষণা করে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীরা ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ৮ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড) পাবেন।
অ্যামব্রোস হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া গবেষণাটি করেন। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল স্কুলে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক। আর রুভকুনের গবেষণাটি ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে সম্পাদিত হয়। সেখানে তিনি জেনেটিক্সের অধ্যাপক।
গত বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পান হাঙ্গেরিয়ান বিজ্ঞানী কাতালিন ক্যারিকো ও তার মার্কিন সহকর্মী চিকিৎসক ড্র ওয়াইজম্যান। করোনাভাইরাসের টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার করায় এই দুই বিজ্ঞানীকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।
২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৩ জন নারী নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ১৩তম নারী হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন কাতালিন ক্যারিকো।
নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৮ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৯ অক্টোবর রসায়ন, ১০ অক্টোবর সাহিত্য, ১১ অক্টোবর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার শান্তিতে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।
নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রতিবছর ৩০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক বা একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথম দিনে ঘোষণা করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম। এরপর ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে এ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
১৯০১ সালে জার্মান জীববিজ্ঞানী এমিল ফন বেরিং ডিপথেরিয়া রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর সিরাম থেরাপি বিষয়ে গবেষণার জন্য প্রথম নোবেল পুরস্কার পান।
২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হয়। প্রত্যেক পুরস্কারের জন্য সনদ ও সোনার মেডেলসহ এই অর্থমূল্য দেয়া হবে।