ছবি: সংগৃহীত
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের নারীদের মধ্যেও এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। প্রতিবছর বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ১৪ হাজার এবং মারা যান প্রায় সাড়ে ছয় হাজার নারী। এই রোগ থেকে সচেতন থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে স্তন ক্যান্সার নিরাময়ের সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। এ জন্য রয়েছে বেশ কিছু উপায়।
পরীক্ষা
দুটি উপায়ে প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়। কোনো লক্ষণ টের পেলে জরুরিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো উচিত। আবার যাঁদের মধ্যে লক্ষণ নেই, কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন, ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের মধ্য থেকে রোগী শনাক্ত করা উচিত।
লক্ষণ
* স্তনে চাকা বা পিণ্ড
* নিপল বা বোঁটা ভেতরে ঢুকে যাওয়া, অসমান বা বাঁকা হওয়া
* নিপল দিয়ে অস্বাভাবিক রস বা রক্তক্ষরণ হওয়া
* চামড়ার রং বা চেহারায় পরিবর্তন
* বগলতলায় পিণ্ড বা চাকা।
ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এগজামিনেশন
চিকিৎসক বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে স্তন পরীক্ষা করাকে ক্লিনিক্যাল এগজামিনেশন বলে। চিকিৎসক স্তন ও বগলতলায় কোনো চাকা বা অস্বাভাবিক পরিবর্তন আছে কি না তা সুনির্দিষ্ট নিয়মে সযত্নে পরীক্ষা করে দেখেন।
নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা
একজন নারী নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করবেন। মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনে যদি নিয়মিত নিজের স্তন ভালোভাবে পরীক্ষা করেন তাহলে যেকোনো ধরনের অসামঞ্জস্য বা পরিবর্তন নিজেই প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করতে পারবেন।
মনে রাখুন
* ২০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে একবার নিজের স্তন পরীক্ষা করুন।
* অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন আপনার কাছে ধরা পড়লে চিকিৎসক বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে স্তন পরীক্ষা করান।
* চিকিৎসক যদি কোনো চাকা বা পিণ্ড বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন শনাক্ত করেন, তাহলে তাঁর পরামর্শে মেমোগ্রাম, স্তনের আলট্রাসনোগ্রাম বা অন্য পরীক্ষাগুলো করানো উচিত।