![বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বললেন ‘আমি মোদির ওপর ছেড়ে দিচ্ছি’ বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বললেন ‘আমি মোদির ওপর ছেড়ে দিচ্ছি’](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/trump_modi-2502141118.jpg)
ছবি- সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদি। বাণিজ্য থেকে অভিবাসন, একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, 'বাংলাদেশের বিষয়ে আপনার অভিমত কি? কারণ এটা স্পষ্ট যে বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এমনকী, মুহাম্মদ ইউনূসও জুনিয়র সরোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?'
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটা এমন একটি বিষয় যেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং সত্য বলতে, শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। কিন্তু আমি এটা প্রধানমন্ত্রীর (মোদির) ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’
এরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ভারতের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাব্য সমাধান খোঁজার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে আমি সমর্থন জানাই। বৈশ্বিক জনমত বলছে, ভারত এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই—ভারতের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল না, আমরা সব সময়ই শান্তির পক্ষে ছিলাম।’
মোদি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে একটি বিষয়ে মিল রয়েছে। আমরা দুজনেই আমাদের দেশের স্বার্থ আগে রাখি।’ ট্রাম্পও মোদির প্রশংসা করেন এবং বলেন, ‘মোদি ভারতে দারুণ কাজ করছেন। আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে।’ বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্য, অভিবাসনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে করা প্রতিবেদনটিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা ও বহু মানুষের মৃত্যু ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রতিবেদনের বিষয়ে বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ফ্যাসিস্ট ছিল। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দিতে তিনি ভারতকে অনুরোধ করেছেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে আবার স্মারক পাঠানো হতে পারে। তবে এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।