মির্জা আজম— বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী। ১৯৯১ সাল থেকে টানা পাঁচবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পালন করেন অষ্টম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় হুইপ ও নবম জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় হুইপের দায়িত্ব। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যও ছিলেন। সম্প্রতি পাট ও পাট খাতের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে।
সামগ্রিক পাট খাত উন্নয়নে মন্ত্রণালয় কী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে?
২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল, পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা। এজন্য বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট খাতের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কয়েকশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বন্ধ মিলগুলো চালু করা হয়েছে। হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাট খাতে একটা গতির সঞ্চার হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দুই মেয়াদে বর্তমান সরকারের এ সাত বছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সীমিত সম্পদের মধ্যেও নির্বাচিত উন্নয়ন প্রকল্প ও ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এরই মধ্যে দক্ষ ব্যবস্থাপনা, উত্পাদন ও রফতানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে মন্ত্রণালয়। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে পাট খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাট খাতের বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনে পাট আইন-২০১৫, পাটনীতি-২০১৫, বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান আইন-২০১৫ ও বস্ত্রনীতি-২০১৫ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য বাস্তবভিত্তিক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি ও পরিবেশের উন্নয়নে পাটকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে কি?
এ দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, সমাজ ও সংস্কৃতিতে পাটের ভূমিকা অপরিসীম। প্রায় চার কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। পাট খাতের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় উন্নত মানের পাট উত্পাদন, একরপ্রতি ফলন বৃদ্ধি ও উত্পাদন ব্যয় কমিয়ে উন্নত মানের পাট উত্পাদনে চাষীদের আগ্রহী করে তুলতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের বন্ধ কল-কারখানা চালুকরণ নীতির আওতায় বন্ধ জুট মিলগুলো চালু করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী উন্নত মানের বহুমুখী পাটপণ্য উত্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য ২০১০ সাল থেকে ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’ কাজ করে যাচ্ছে। পাট সার্বিকভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়ায় ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট-২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী ধান, চাল, গম, সার, চিনি ও ভুট্টা— এ ছয়টি পণ্য অবশ্যই বাধ্যতামূলকভাবে পাটের মোড়কে প্যাকেটজাত করতে হবে। আইনটির মূল্য উদ্দেশ্য পরিবেশ রক্ষা, অভ্যন্তরীণ বাজার সৃষ্টি ও রফতানিনির্ভরতা কমানো। পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার মোট উত্পাদনের মাত্র ৫-৭ শতাংশ। আর বাকিটা রফতানি করা হয়। এ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা এরই মধ্যে প্রায় ২০ লাখ বেল পাটের দেশীয় বাজার সৃষ্টিতে সমর্থ হয়েছি। বর্তমানে ছয়টি পণ্যের সঙ্গে আরো ১৩টি পণ্য সংযুক্ত করার প্রয়াস চলছে। সেক্ষেত্রে প্রায় ৩০ লাখ বেল পাটের স্থানীয় বাজার তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে পরিবেশ দূষণমুক্ত, স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, পাটচাষীদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও পাটের উত্পাদন বৃদ্ধিসহ পাট শিল্প আগের সোনালি দিনে ফিরে যাবে। এতে আমাদের রফতানিনির্ভরতা কমে আসবে।
পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টিতে কী ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন?
সরকার পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়াতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য পাটের বহুমুখীকরণে জেডিপিসি এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ উদ্যোক্তা তৈরি করেছে। এর মধ্যে ২৫০ জন সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। উদ্যোক্তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে জেডিপিসি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। এছাড়া বহুমুখী পাটপণ্যের একক মেলার আয়োজনসহ দেশে-বিদেশে মেলার আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তাদের সুলভ মূল্যে কাঁচামাল সরবরাহ করতে ঢাকা ও রংপুরে দুটি কাঁচামাল ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া পাটপণ্যের সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে জেডিপিসিতে প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। জেডিপিসির পক্ষ থেকে জুট জিও টেক্সটাইলের ব্যবহার বৃদ্ধির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাটপণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ‘সোনালি আঁশ’ তার হূতগৌরব ফিরে পাবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগকেও উত্সাহিত করা হচ্ছে।
আদমজী জুট মিল নিয়ে আপনাদের কী ধরনের চিন্তাভাবনা আছে?
বিদেশী চক্রান্তের মাধ্যমে দেশের ঐহিত্যবাহী এ পাটকল বন্ধ করা হয়। দেশের পাট খাতকে ধ্বংস করতেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। এজন্য এ খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারকে বেশ নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয়েছে। আদমজীর পুরো জুট মিল এলাকায় ইপিজেড করা হয়েছে। সেখানে ১৩ একর জমি ছিল। প্রধানমন্ত্রী একবার এ জায়গায় পাটমুখী কিছু কারখানা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব আর করা হয়নি। সর্বশেষ সে জমি মাসছয়েক আগে ইপিজেডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সে হিসেবে আদমজী জুট মিল পুনরায় চালুর বিষয়ে আমাদের সুদূরপ্রসারী তেমন কোনো চিন্তা নেই। তবে আমরা সামগ্রিকভাবে পাট খাতের উন্নয়নে কাজ করছি।
কৃষিপণ্য ঘোষিত হওয়ায় পাট কী ধরনের সুবিধা পাবে?
সরকার পাটকে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। মূলত ব্যক্তিখাতের ব্যবসায়ীদের জন্য এটি করা হয়েছে। এখন তারা এক অঙ্কে ব্যাংকঋণ পাবেন। পাটকল করতে তারা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। পাট ও পাটজাত পণ্য প্রসারের লক্ষ্যে এর লাইসেন্স মঞ্জুরি ও নবায়ন ফির বিপরীতে উেস মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১৫ শতাংশ ছিল। এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া পাট ক্রয়ে জোগানদার সেবার ওপর ৪ শতাংশ হারে উেস মূসক কর্তনের বিধান থেকেও অব্যাহতি দিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেও সুতা রফতানিতে ৫ শতাংশ ও পাটের বহুমুখী পণ্য রফতানিতে সাড়ে ৭ শতাংশ সহায়তা পেতেন রফতানিকারকরা। কিন্তু কৃষিপণ্য হিসেবে এখন তারা নগদ সহায়তা পাবেন ২০ শতাংশ। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ধরনের প্রণোদনা। ভারত অনেক আগে থেকে এটি দিত। ফলে ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় আমরা পারতাম না। এখন পারছি।
সরকারি পাটকলে প্রতিনিয়ত শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটছে। একে কীভাবে দেখছেন?
শ্রমিকদের এবারের আন্দোলনটা যৌক্তিক ছিল। পাঁচ বছর আগে যারা অবসর নিয়েছে, তারা গ্র্যাচুইটির টাকা পায়নি। উপরন্তু ১২ সপ্তাহ করে তাদের মজুরিও বাকি পড়েছিল, যা হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের সরকার শ্রমিকবান্ধব। অর্থমন্ত্রী টাকা দিতে বিলম্ব করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়।
স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আমাদের বিজেএমসি আসলে কতটুকু প্রস্তুত?
বিজেএমসি ও সামগ্রিক পাট খাত— এ দুটিকে একপাল্লায় মাপলে হবে না। বিজেএমসি সরকারের একটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। আর পাট খাত হলো পুরোটাই। মোট উত্পাদনের মাত্র ৭ শতাংশ কেনাবেচা করে বিজেএমসি। বাকি ৯৩ শতাংশ করে ব্যক্তিখাত বা বেসরকারি খাত। বর্তমানে বিজেএমসির ২৬টি মিলে ৬৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট ৯৬ হাজার টন উত্পাদন ও আগের বছরের প্রায় ৯৩ হাজার টন মুজদ নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। এর মধ্যে ২০১৪-১৫ সালে দেশে ২৬ হাজার ও বিদেশের বাজারে ১ লাখ ১৮ হাজার টন বিক্রি করে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আয় করে প্রতিষ্ঠানটি। কেনাবেচা কম হলেও সার্বিকভাবে পাট খাতটি নিয়ন্ত্রণ করে বিজেএমসি। কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণে সংস্থাটির ভূমিকা রয়েছে। বিজেএমসি বন্ধ হলে পুরো খাতটি ব্যক্তিখাতে চলে যাবে। তখন ব্যক্তিখাত সিন্ডিকেট করে পাটের দামের পতন ঘটাতে পারে। কিন্তু বিজেএমসি এক্ষেত্রে চেক অ্যান্ড ব্যালান্স করে। বিজেএমসির মিলগুলো দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সেগুলো চীন ও অন্যান্য দেশের সহায়তায় আধুনিকায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিজেএমসির মিলের অব্যবহূত জায়গায় ছোট ছোট প্লট করে পাট-সংক্রান্ত শিল্প-কারখানা স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিজেএমসির প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি কীভাবে মোকাবেলা করছেন?
মজুরি কমিশনের আওতায় বিজেএমসির শ্রমিক পরিচালিত হয়। প্রাইভেট পাটকলে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি যেখানে মাত্র ৩০০ টাকা, সেখানে বিজেএমসির আওতাভুক্ত শ্রমিক পান ৮০০ টাকা। এখানে শ্রমিকের সংখ্যাও বেশি। বড় বিষয় হলো, বিজেএমসির পাটকলের কর্মকর্তাদের বেতন ব্যক্তিখাতের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এখানে দুর্নীতির সুযোগ অনেক বেশি। আমরা এটি কমানোর চেষ্টা করছি। এখানকার মিলগুলোর যন্ত্রাংশ পঞ্চাশের দশকের। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে তো এসব মিল পারবে না। প্রাইভেট সেক্টর ব্যবসা করুক তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু বিজেএমসিকে আমরা টিকিয়ে রাখছি চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের জন্য। বিভিন্ন তত্পরতার মাধ্যমে বিজেএমসিকে প্রায় বন্ধ করার পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিজেএমসি লোকসান ও দুর্নীতি থেকে মুনাফার ধারায় ফিরবে।
পাট ছাড়াও মন্ত্রণালয় অন্যান্য খাতের উন্নয়নে কী করছে?
বর্তমানে বিটিএমসির (বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৮টি মিলের মধ্যে ছয়টি সার্ভিস চার্জ পদ্ধতি, একটি ভাড়ায় ও দুটি মিলে টেক্সটাইল পল্লী স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া প্রাইভেটাইজেশন কমিশনে তালিকাভুক্ত তিনটি মিলসহ বাকি নয়টি বন্ধ আছে। এরই মধ্যে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনে তালিকাভুক্ত তিনটি মিল ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের চিত্তরঞ্জন কটন মিলে টেক্সটাইল পল্লী স্থাপনের জন্য চতুর্থবারের মতো টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। বিটিএমসির মিলগুলো আধুনিকায়নে চীনের সহযোগিতায় ও পিপিপির ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে বস্ত্র ও পোশাক খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টির প্রয়োজনে দেশে বিদ্যমান পাঁচটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তিনটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও ৪০টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ডিগ্রি ও সনদ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে আরো চারটি নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ছয়টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলমান। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে প্রতি বছর আরো ৯০০ শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের সুরক্ষা ও প্রসারে ফ্যাশন ডিজাইন, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও একটি বেসিক সেন্টার স্থাপন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যমান বস্ত্র প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র বিএমআরইকরণ ও ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে তাঁত অধ্যুষিত এলাকায় তিনটি সার্ভিস সেন্টার স্থাপনসহ তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ‘মসলিন’ কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক ৯ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড ১ দশমিক ২৪ লাখ কেজি রেশম গুটি উত্পাদনের মাধ্যমে ১ হাজার ২২৯ কেজি রেশম সুতা উত্পাদন করেছে। একই সময়ে ৬১০ জন রেশমচাষীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাতের তিনটি রেশম কীট ও দুটি তুঁতজাত আবিষ্কার হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী সদস্যদের রেশম চাষে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ জেলার ২৫ উপজেলায় এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
বণিক বার্তা’র সৌজন্যে