ফাইল ছবি
বর্তমানে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিতে কর্মরত নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে। ওই পরিপত্র অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধার সর্বশেষ জন্ম তারিখ ৩০ মে, ১৯৫৯। সে অনুযায়ী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধি মোতাবেক চাকরিকাল ছিল ২০১৯ সালের ৩০ মে পর্যন্ত।
তাই এখন কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিতে বিধি অনুযায়ী কর্মরত নেই।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ সকল তথ্য জানান।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বিতরণ আদেশ, ২০২০’-এর নির্দেশনা অনুসরণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা পরিচালনা করা হয়। ওই আদেশে এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সমন্বিত তালিকাভুক্ত এমএএস ধারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া হয়
চাকরিরত বা চাকরিরত নয়, এমন সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবিতকাল পর্যন্ত এবং মৃত্যুর পর ওয়ারিশরা, স্ত্রী ও সন্তানরা ভাতা প্রাপ্য হন।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক সংসদকে জানান, প্রণোদনা, পুনর্বাসন, আর্থিক সুবিধা ও কৃষিঋণ প্রাপ্তির জন্য কৃষকদের নিবন্ধন করে ‘কৃষি উপকরণ কার্ড’ প্রদান করা হয়। সারা দেশে এ কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা ২ কোটি ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৯ জন।
একই দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, বোরো মৌসুমে সেচ বাবদ কৃষি খাতে ভর্তুকি (২০ শতাংশ রিবেট) দেওয়া হয়।
২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত বোরো মৌসুমে কৃষি খাতে সেচ বাবদ এক হাজার ১৩২ কোটি ৭০ লাখ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।