ছবি: বহুমাত্রিক.কম
অসাম্প্রদায়িক ও স্বাধীন সোনার বাংলা বিনির্মাণের কারিগর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ এসেছিলেন ৪৭ বার। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ লাইন্সের অভ্যন্তরে বৃটিশ স্থাপত্যশিল্পের ঐতিহ্যের ধারক পুরাতন পুলিশ হাসপাতাল ভবনে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন এসে নির্ভরযোগ্য এ তথ্য দেখে অত্যন্ত পুলকিত ও উচ্ছ¡সিত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যদি সমৃদ্ধ করতে হয়, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে যদি জন্ম-জন্মান্তরে চলমান রাখতে হলে বা ধরে রাখতে হলে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় এবং পারলে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একটি করে মুক্তিযুদ্ধ চর্চা কেন্দ্র করা যেতে পারে। তাহলে কিন্তু প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে থেকে যাবে, তা নাহলে কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস একদিন স্মৃতির আড়ালে বিস্মৃত হয়ে যাবে। পুলিশ লাইনের এই যাদুঘরটি ছোট পরিসরে হলেও পুলিশদের মধ্যে তাদের মুক্তিদ্ধের ইতিহাস জাগিয়ে রাখবে আনন্তকাল ধরে। ময়মনসিংহের পুলিশের এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
অত্যন্ত সুন্দর করে নির্মানাধীন বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ময়মনসিংহ পরিদর্শন করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ইতিহাস এবং তার সাথে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনেকাংশ এই যাদুঘরে সন্নিবেশিত করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সহধর্মিনি নাফিসা বানু, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সুপ্রীম কোর্টের রেজিষ্ট্রার মশিউর রহমান,
ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বিপিএম(বার) পিপিএম, বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বিপিএম, পিপিএম। সহ জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
যাদুঘরে পৌঁছলে ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানোনের পর প্রধান বিচারপতিকে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সদস্যদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার উপজীব্যে গড়ে ওঠা এই জাদুঘরের ৫টি গ্যালারি ও আর্কাইভে স্থান দেয়া হয়েছে। নিবিড় মনোযোগের সাথে যাদুঘর পরিদর্শন করার পর প্রধান বিচারপতি বিশেষ সন্তোষ্টি জ্ঞাপন করেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাংলাদেশ পুলিশের ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার এই ব্যতিক্রমী ও কার্যকর উদ্যোগ প্রহণের জন্য তিনি পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ এবং এই কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও প্রধান বিচারপতি জাদুঘরের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, প্রত্যেক গ্যালারিতে স্থাপিত প্রদর্শনীসমূহ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক বিভিন্ন সংগ্রহ এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।