-লেখক
কুলসুম বিবি। বয়স ৫০। তার ঘরের দিকে তাকালে পুরনো টিন চট, পলিথিন আর লাকড়ি দিয়ে মোড়ানো ঘরটি।। স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। বিধবা কুলসুম বিবি নিজের একমাত্র ছেলে শাকিল-কে নিয়ে ২ জনের জীবনযাপন এই ঘরেই।
বসতঘরটি পুরাতন ভাঙ্গা টিনের জোড়াতালি দিয়ে বৃষ্টি এলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিলেও বর্ষার সময় ঘরের চাল থেকে পানি পড়ে। বিছানাসহ সবকিছুই ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। একটু বাতাস হলে ঘরটি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝড়-বৃষ্টি হলে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয় কুলসুম বিবিকে। এ অবস্থায় কুলসুম বিবি খুবই মানবেতরভাবে জরজীর্ণ বসতঘরে জীবন-যাপন করছে। কুলসুম বিবি আরো বলেন বর্ষাকালে ঘরে পানি পড়ে বলে সারা রাত ঘরের এক কোণে জেগে রাত কাটাতে হয়। এই বৃষ্টির পানিতে ভেজা অসুস্থ করে দিচ্ছে। তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় ঠিকমত ওষুধ কিনা হয়না তাদের।
বর্তমানে জরজীর্ণ ভাঙ্গা ঘরটি নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারণ রোদ-বৃষ্টি কোন মৌসুমেই ঠিকমত থাকতে পারেন না। তিনি কান্যাজড়িত কণ্ঠে জানান, না খেয়ে থাকা যায়, কিন্তু আশ্রয়স্থল যদি ঠিক না থাকে তাহলে চিন্তায় দিনরাত পার করা খুবই কঠিন। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে কুলসুম বিবি ও তার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলের বসবাস।
কুলসুম বিবির অসহায়ত্ব নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডি ‘রাহাত আকন্দ’তে লিখলে গত বছর কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিজ একটি বিধবা ভাতা কার্ড ও কিছু ত্রাণ দিয়ে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়ায় ছিন্নমূল এই পরিবারটিরে সংকট রয়েই গেছে। কুলসুম বিবির ঘরটি এই বর্ষায় সংষ্কারে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
লেখক: ছাত্রনেতা ও সমাজকর্মী
বহুমাত্রিক.কম