ছিমছাম পরিবেশ আর খাবারে আভিজাত্য। সব মিলিয়ে রয়েছে খাবারে আধুনিকতার ছোঁয়া। ভিন্ন পরিবেশে বাংলা খাবারের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, থাই খাবারের স্বাদে পূর্ণ রেস্টুরেন্টটি কুষ্টিয়া শহরের মধ্যে আভিজাত্যপূর্ণ একটি হোটেল খেয়া রেস্তোরাঁ।
রেস্তোরাঁয় নীরব পরিবেশে ভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে। রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করলেই পাবেন প্রশান্তির ছোঁয়া।
কুষ্টিয়া শহরের মধ্যে এমন একটি রেস্টুরেন্ট সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। কারণ বিদেশি খাবারের পরিপূর্ণ স্বাদ পাবেন এখানে বসেই।
খেয়া রেস্তোরাঁর খাবারের ব্যাপারটিও অন্যসব রেস্টুরেন্ট থেকে আলাদা। এখানে রয়েছে খাবারের পরিবর্তিত মেন্যু। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় খাবারের।
রেস্টুরেন্টের জেনারেল ম্যানেজার সাইদুল বারী টুটুল বলেন, `খাবারের ব্যাপারে সবাই চায় নতুন ও ভিন্ন স্বাদ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি সপ্তাহে রাখা হয় নতুন ধরনের খাবার। তবে এসব খাবার একেবারে নিজস্ব স্টাইলে করা হয়। তাই সবার আগ্রহটা একটু বেশিই থাকে খাবারের প্রতি।` এর প্রমাণ মিলবে মেন্যু কার্ডে চোখ বুলালেই। কার্ডটিতে প্রথমেই চোখে পড়বে শেফ স্পেশাল মেন্যু। রেগুলার খাবারের পাশাপাশি পাবেন সকাল, দুপুর ও রাতের আলাদা সেট মেন্যু। আপনাকে রিফ্রেশ করতে রয়েছে বিভিন্ন মিল্কশেক। এসবই বানানো হয়েছে নিজস্ব স্টাইলে। তবে আপনি যদি ভারী খাবার খেতে না চান তারও ব্যবস্থা রয়েছে। পাবেন হালকা আইটেমের নাশতা।
খাবারের পূর্ণতা দিতে থাকছে হালকা মিউজিক। যার মাধ্যমে খাবার হয়ে উঠবে সত্যিই উপভোগ্য। শুধু তাই নয়, এখানে খেতে আসা ভোজনরসিকদের জন্য আরও একটি অফার রয়েছে। তা হলো, যে কেউ ইচ্ছা করলে এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন। এজন্য রয়েছে পর্যাপ্ত স্পেস। এটা কেউ পার্টি করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে শুধু খাবারের দাম দিলেই হবে। খাবারের সঙ্গে গানের আমেজ রাখতে আলো-আঁধারি করা হয়েছে রেস্টুরেন্টটি।
রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। ৯০০০ স্কয়ার ফিটের রেস্টুরেন্টটির ১২০টির বেশি আসন আর দুটি আলাদা জোন। যেখানে ইচ্ছে করলেই ব্যক্তিগত কাজ কিংবা পারিবারিক বিনোদনের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। সঙ্গে মানসম্মত খাবার তো থাকবেই।
তবে করপোরেট পার্টির জন্য রয়েছে আবার ভিন্নতা। আয়োজন কিংবা অনুষ্ঠানের হিসাবটা রেস্টুরেন্ট মিলিয়ে নেবে। আরও আছে ১২০ আসন বিশিষ্ট
কনফারেন্স রুম। সেখানে সভা সেমিনারের ব্যবস্থা রয়েছে।
খেয়া রেস্তোরাঁর স্বত্বাধিকারী অজয় সুরেকা জানান, খেয়া রেস্তোরাঁ খাবারগুলোর দারুণ স্বাদ এটি বলতে পারি। সঙ্গে বলতে পারি খাবারগুলো একেবারে ফ্রেশ। যা যে কোনো ভোজনরসিকদের মুখে ওঠা মাত্র বাহ্! বলতেই হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের এই সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়ায় বাইরের অতিথিরা আসলে যেন তারা নতুন এবং আভিজাত্যপূর্ণ রেস্তোরাঁয় ফ্রেশ খাবার খেতে পারে তার সুব্যবস্থা করার জন্যই আমাদের এই খেয়া রেস্তোরাঁ চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি এখানে রয়েছে চারটি প্রথম শ্রেণির আবাসিক কক্ষ। খাবার মান শহরে আর যে কোন রেস্টুরেন্ট আছে তাদের চ্যালেঞ্জ করার মতো। আমাদের রেস্টুরেন্টের পরিবেশটাও ভোজনরসিকদের কাছে টানবে।
বহুমাত্রিক.কম