ছবি- সংগৃহীত
জাতীয় সংগীত নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং জড়িতদের রুখে দিতে সারা দেশে এক যোগে হয়ে গেল জাতীয় সংগীত গাওয়া কর্মসূচি।
শুক্রবার সকাল ১০টায় দেশের জেলা ও শাখা সংসদের শিল্পী-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ এক সঙ্গে জাতীয় সংগীত গান। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেই সঙ্গে জাতীয় সংগীতও পরিবেশন করেন শিল্পীগোষ্ঠীসহ সাধারণ মানুষ
বক্তারা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মূল সুরকে বিভক্ত করতে একদল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার বিরোধিতা করে তারা জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতের ওপর আঘাত হানতে শুরু করেছে। নিত্যনতুন পরিবর্তনের খেলায় বাংলাদেশ একদিন মেরুদণ্ডহীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তরুণ প্রজন্মের।
তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা আমাদের জন্মের ইতিহাস ধারণ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিষয়ে সংস্কার হতে পারে। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো পরিবর্তন হলে আমাদের জন্মের ইতিহাস বদলে যাবে।
সারা দেশব্যাপী এ কর্মসূচি চলছে এবং অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় উদীচী।উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ‘প্রগতিশীল সব আন্দোলন-সংগ্রামে উদীচী সামনে থেকেছে। যখনই দেশের উপর, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর আঘাত এসেছে- আমরা প্রতিবাদ করেছি। এবারও জাতীয় সংগীত গেয়ে এই কর্মসূচি, সেই ধারাবাহিক প্রতিবাদেরই অংশ।’