ছবি: সংগৃহীত
মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সম্মানিত সদস্য এমএ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি এর নিজ উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের জন্য ‘ইউনিয়নভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা’ কার্যক্রম চালু হয়েছে প্রায় ৫ বছর। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আলমডাঙ্গার আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদে আগত দুস্থ রোগীদের মাঝে, ফ্রি চিকিৎসা, ফ্রি ওষুধ বিতরণ ও ফ্রি সুগার টেস্টসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। আলমডাঙ্গার আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদে এই স্বাস্থ্য ক্যাম্পাইন চলাকালে মোট ৩৮৯ জন রোগীকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা পর্যায়ক্রমে চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার । আর সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। আমি নেত্রীর নির্দেশে চুয়াডাঙ্গাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে চলেছি। চুয়াডাঙ্গাবাসীর উন্নয়ন কাজেরই একটি অংশ চুয়াডাঙ্গার প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন। প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ।’
তিনি বলেন, ‘আমার চুয়াডাঙ্গার একটি মানুষও যেন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ না করে সেই লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন, বিশ্ব যখন করোনা মহামারীতে আক্রান্ত ঠিক সে সময়ই আমি আমার নিজ বাড়ি পলাশ পাড়ায় অবস্থিত ‘খান মহলকে’ চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য ‘জরুরি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে’ রূপান্তরিত করি যা এখনো চলমান। এখানে ফ্রিতে ডাক্তার দেখানো, ওষুধ বিতরণ, ও অক্সিজেন সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। আমি সকলের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে মানব সেবায় আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। সকলকে সাথে নিয়ে গড়তে চাই একটি ‘আধুনিক সমৃদ্ধ চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা’ যা হবে বাংলাদেশের রোল মডেল ।’
আলমডাঙ্গার আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের স্বাস্থ্য ক্যাম্পাইনে সেবা নিতে আসা একজন রোগী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, খরচের ভয়ে চিকিৎসা করাতেও যাইনি কখনো। ঘরে চাল থাকে না যেখানে সেখানে ঔষধ কেনা বিলাসিতা। এম এ রাজ্জাক খান রাজের এই মহান উদ্যোগে আমি নিজ গ্রামেই বিনামূল্যে সকল প্রকার টেস্ট করিয়ে ডাক্তার দেখাতে পেরেছি৷ সেখান থেকে আবার ওষুধও নিয়েছি কোন প্রকার খরচ ছাড়া। মানবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত এম এ রাজ্জাক খান রাজ। ধন্যবাদ দিলেও তা খুবই সামান্য হবে। আমি মহান এই ব্যক্তির দীর্ঘায়ু কামনা করছি।’