ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য ভূমিকায় চলে যাবে নির্বাচন কমিশন। তাদের তত্ত্বাবধায়নেই চলে যাবে নিরাপত্তা বাহিনী।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা টেরি এল ইসলের নেতৃত্বে আসা ৪ সদস্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সাথে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,নির্বাচন কমিশন যেদিন তফসিল ঘোষণা করবে, সেদিন থেকে পুরো বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীন চলে যাবে। তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাউকে বদলি কিংবা পদায়নও করতে পারবে না। কাজেই সবকিছু পরিচালনার ভার চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। আমরা তাদেরকে এটি জানিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, তারা মূলত বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে কোনো অন্তরায় হবে কিনা; তা জানতে এসেছেন। আমাদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন। তাদের বলেছি, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারসহ যারা নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবেন, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও অভিজ্ঞতায় তারা এগিয়ে আছেন। যে কোনো নির্বাচন পরিচালনায় তাদের সক্ষমতা আছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, তারাই সেগুলো পরিচালনা করেছে। আমরা এ-ও বলেছি, পুলিশের পাশাপাশি আমাদের একটি সহায়ক বাহিনীও রয়েছে। তাদের সংখ্যাও এক মিলিয়নের মতো। আলাপ-আলোচনা শেষে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা যা জানতে চেয়েছেন, তা বিশ্লেষণ করে বলে দেয়া হয়েছে।
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে ঘীরে শনিবার যে সহিংসতা ঘটেছে, এসব ঘটনায় সাত'শর বেশি জনকে ধরা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন,গতকালকের ভায়োলেন্সের ঘটনায় সাত'শর বেশি জনকে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না, তাদেরকে থানা থেকেই ছেড়ে দেয়া হবে।