ফাইল ছবি
মহান বিজয় দিবস শনিবার। গৌরবের এই দিনকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বীর শহীদদের স্মরণে বাহারি ফুল ও বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।
লাল-সবুজের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের কালের সাক্ষী ১০৮ একর জমির ওপর দাঁড়িয়ে এই স্মৃতিসৌধ। রাতের আঁধার পেরিয়ে রক্তিম সূর্যোদয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ লাখো মানুষের ঢল নামবে এই স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।
লাল-সবুজের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের কালের সাক্ষী ১০৮ একর জমির ওপর দাঁড়িয়ে এই স্মৃতিসৌধ। রাতের আঁধার পেরিয়ে রক্তিম সূর্যোদয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ লাখো মানুষের ঢল নামবে এই স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।ফুলের চাদরে ঢেকে যাবে কংক্রিটের শহীদ বেদি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করতে অপেক্ষায় প্রহর গুনছে সবাই।
বিশেষ দিনে দেশের সূর্যসন্তানদের স্মরণ করতে প্রস্তুতির কমতি নেই। তাইতো প্রবীণদের সঙ্গে আগামী প্রজন্মও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আর ভালোবাসা জানাতে সবাই উপস্থিত হবে এক কাতারে।প্রতিবছরের মতো এবারও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিবিড় যত্নে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি বাহারি রঙের ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে।
গত কয়েক দিন স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, নিরাপত্তার জন্য সৌধের ভেতরে ও বাইরে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। কয়েক শ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিতসহ বাড়ানো হয়েছে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য প্রস্তুতি শেষ হয়েছে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত দলের মহড়া।
শেষ হয়েছে লাইটিংসহ রংতুলির কাজ। ইতিমধ্যে স্মৃতিসৌধ এলাকায় সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।
স্মৃতিসৌধ এলাকায় কাজ করা শ্রমিকরা জানান, বীর শহীদদের স্মরণে কাজ করাটা আনন্দেরও বিষয়। শুধু চাকরি নয়, দায়িত্বেরও বিষয় এটি। এ কাজ করতে তাদের খুবই ভালো লাগে।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, স্মৃতিসৌধের মিনার ব্যতীত প্রকল্পটির পরিকল্পনা ও নৈসর্গিক পরিকল্পনাসহ অন্য সব নির্মাণকাজের স্থাপত্য নকশা প্রণয়ন করে স্থাপত্য অধিদপ্তর। মিনারের স্থাপত্য নকশা প্রণয়ন করেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মঈনুল হোসেন। এই মিনার ঘিরে রয়েছে কৃত্রিম হ্রদ এবং মনোরম বাগান। সৌধ চত্বরে রয়েছে মাতৃভূমির জন্য আত্মোৎসর্গকারী অজ্ঞাতনামা শহীদদের দশটি গণকবর, উন্মুক্ত মঞ্চ, অভ্যর্থনা কক্ষ, মসজিদ, দুটি হেলিপ্যাড। আরো রয়েছে পুষ্পস্তবক অর্পণ বেদি, ভাস্কর্য চত্বর, সেতু, রক্ষণাবেক্ষণ দপ্তর, নার্সারি, জলাধার (পুকুর), গাড়ি রাখার স্থান, কর্মচারী আবাসন, রেস্তোরাঁ, পাবলিক টয়লেট ইত্যাদি।