ছবি- সংগৃহীত
রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা এ অবস্থান নেন। পরে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এসময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মেরুল বাড্ডা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থী-পুলিশ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় সেখানে বেশ কয়েকটি দোকানপাট, স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা এবং ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে এ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার রাত পৌনে ৮টায় সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না বলেও জানানো হয়।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আগামীকাল (১৮ জুলাই) সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।