ফাইল ছবি
আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমানে তাকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তাকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।প্রসঙ্গত, ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে এ বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এর কিছুদিন পর প্রকাশ্যে আসে পুলিশের বর্বরতার একটি ভিডিও। এতে দেখা যায় একটি ভ্যান গাড়িতে স্তূপ করে রাখা হয়েছে মরদেহ।
সেখানে আরও একজনের মরদে তোলেন দুই ব্যক্তি। এ সময় তাদের পরনে পুলিশের ভেস্ট ও হেলমেট ছিল। জানা যায়, আশুলিয়া থানার সামনে থেকে এই ভিডিওটি ধারণ করা হয়। পরে সেই মরদেহগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বীভৎস ও নারকীয় ওই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন ওসি সায়েদ। ওই সময় তিনি ডিউটি করছিলেন সিভিল ড্রেসে। পরনে ছিল নীল রঙের পোলো শার্ট, কালো রঙের ট্রাউজার। এক হাতে ব্যান্ডেজ। ট্রাউজারের পকেটে ছিল ওয়্যারলেস সেট।
সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শক এবং কনস্টেবল পদের প্রত্যক্ষদর্শী ৪ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মরদেহ ভ্যানে তোলার পূর্বপর ঘটনা জুড়ে যা কিছু ঘটেছে সকল কিছুর নেতৃত্বে ছিলেন আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ। তার নির্দেশেই মরদেহ পড়ানোর জন্য পেট্রোল জোগাড় করেছিলেন আশুলিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন ও আশুলিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির। প্লাস্টিকের বোতলে করে আনা হয়েছিলো পেট্রোল। ৩ দফায় গাড়িটিতে ছিটানো হয় পেট্রোল।